ক্রমাগত শ্বাস নেওয়া এবং শ্বাস ছাড়া খুবই জরুরি। শ্বাস নেওয়ার সময় অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করে এবং শ্বাস ছাড়ার মাধ্যমে শরীরে উপস্থিত কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে আসে। শরীরে পরিষ্কার বাতাস প্রবেশ করা খুবই জরুরি। অক্সিজেন ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। শরীরের মধ্যে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে এবং শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফুসফুস। তাই অন্যান্য অঙ্গগুলির মতো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল ফুসফুস। এই ফুসফুস যদি ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে তা শরীরে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

বর্তমান যুগে মানুষের শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সমস্যা ক্রমাগত বাড়ছে, এর মধ্যে রয়েছে ফুসফুসের সংক্রমণ, হাঁপানি, পালমোনারি ফাইব্রোসিস, অ্যাসবেস্টোসিসের মতো গুরুতর অবস্থা। এই পরিস্থিতি দেখা দিলে শ্বাস নিতে অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য ফুসফুসের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফুসফুস দিবস উপলক্ষে ফুসফুসের গুরুত্ব বোঝানো এবং ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতন করা হয় মানুষকে।

ফুসফুসে কোনও ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বা ফুসফুস ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে অনেক লক্ষণ ও উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। এই লক্ষণগুলো সময়মতো শনাক্ত করা গেলে যথাযথ চিকিৎসা করা যায়, যার ফলে যেকোনও মারাত্মক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। সাধারণত ফুসফুসের সমস্যা হলে বুকে ব্যথা বা স্ট্রেন, শ্বাসকষ্ট, ক্রমাগত কাশি, কাশি থেকে থুতু বা রক্ত পড়া, অবিরাম শ্লেষ্মা উৎপাদন, ক্লান্তি, জ্বর, দুর্বলতা এবং হঠাৎ ওজন হ্রাস পাওয়া। ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়া। নিয়মিত যোগব্যায়াম ও প্রাণায়ামের অভ্যাস ফুসফুসকে শক্তিশালী করে। সুস্থ ফুসফুসের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।