ভিটামিন ডি শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য ভিটামিন কারণ এটি শরীরের অনেক কাজে সাহায্য করে। তবে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। খাবার বা সূর্যের আলো থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন না পাওয়ার কারণে বর্তমানে প্রায় ৭৬ শতাংশ ভারতীয় ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে ভুগছেন। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি হাড় মজবুত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখতে ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে রিকেট, অস্টিওপরোসিসের মতো অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে শরীরে দেখতে পাওয়া যায় কিছু লক্ষণ।
শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে ভালো ঘুমের পরেও ক্লান্ত এবং দুর্বল অনুভব হয়। ভিটামিন ডি ঘুম-জাগরণ চক্রকে প্রভাবিত করে, যার কারণে ক্লান্তি বোধ হয়। শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিলে বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং বিরক্তির মতো সমস্যা বেড়ে যায়। ভিটামিন ডি সেরোটোনিন উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত, যার অভাবের কারণে বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মেজাজ সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকলে ক্যালসিয়ামের শোষণকে প্রভাবিত করে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে এবং হাড়ে ব্যথা করে।
শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে চুলের সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির কারণে চুলের ফলিকলের স্বাস্থ্য প্রভাবিত হয়, যার কারণে চুল পড়া শুরু হয় এবং চুল পাতলা হয়ে যায়। ভিটামিন ডি-এর অভাবের একটি লক্ষণ হল দুর্বল ক্ষত নিরাময়। ভিটামিন ডি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, তাই শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দিলে ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় অর্থাৎ ক্ষত নিরাময় হতে অনেক সময় লাগে। এছাড়া ভিটামিন ডি-এর অভাবে পেশী ফাংশন প্রভাবিত হতে পারে। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির কারণে শরীরে ক্যালসিয়াম সঠিকভাবে শোষিত হয় না, যা দুর্বলতা এবং পেশীতে ক্র্যাম্প সৃষ্টি করে।