পরিবেশ দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন (Pollution & Climate Change) মানুষের জীবনে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলছে। যার প্রভাব পড়ছে শরীর এবং মনে। যথেচ্ছভাবে গাছ কাটা, বনাঞ্চল ধ্বংস করাও এর আরেকটি কারণ। পরিবেশে মিশে গিয়েছে বিষাক্ত রাসায়নিক। যারফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ। বাড়ছে তাপমাত্রা। যা কারোরই এখন অজানা নেই। তবে আরও একটি উল্লেখযোগ্য চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল গবেষণা থেকে।
এই পরিবেশ দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সঙ্কুচিত হচ্ছে পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য (Penis Length)। এমনকি শুক্রাণুর সংখ্যাও (Sperm Count) কমে যাচ্ছে পরিবেশ দূষণের কারণে। যার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে ভবিষ্যৎ প্রজন্মে। শান্না সোয়ানের লেখা বই কাউন্টডাউনে আরও লেখা রয়েছে, ১৯৭৩-র পর থেকে পুরুষদের শরীরে শুক্রাণুর সংখ্যা ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে। পরিবেশ দূষণের কারণেই শুক্রাণুর সংখ্যা, লিঙ্গের দৈর্ঘ্য হ্রাস এবং অণ্ডকোষের 'ভলিউম' দিনকে দিন পতন হচ্ছে। আরও পড়ুন, আম্ফানের চেয়েও ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় 'টাউকতে' আছড়ে পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে?
শুধু পুরুষরাই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা নয়। মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতাও অনেকাংশে কমেছে। পিতামহ, মাতামহের সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে পরিবেশ দূষণ যত বেড়েছে ততই কমেছে নারী, পুরুষের প্রজননের ক্ষমতা। মানুষের বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে পরিবেশ দূষণ বলেও লেখেন লেখিকা।
এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ সচেতন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। তিনি লেখেন, এবার হয়তো গোটা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হবে।
Now maybe the world will take #ClimateCrises and #AirPollution a little more seriously? https://t.co/zSHfek3iWN
— Dia Mirza (@deespeak) March 26, 2021
যদি আপনি ভেবে থাকেন শুধুমাত্র বর্তমান কর্মব্যস্ততার জীবনই যৌন অক্ষমতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাহলে আপনি পুরোপুরি ভুল। পরিবেশ দূষণ এবং নিত্যদিন প্লাস্টিকের ব্যবহারও এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ। যারফলে স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে বংশবিস্তার।