Credits: Flickr

শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ করতে মাছের তেল, নারকেল তেল, চিয়া বীজ, শণের বীজ একটি ভালো উৎস। কিন্তু ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সম্পূরক গ্রহণ করার সময় নিম্ন রক্তচাপ, পেট সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। একটি সুস্থ জীবনের জন্য শরীরের অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টির প্রয়োজন, এর মধ্যে একটি হল ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বা হার্ট সম্পর্কিত রোগ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।

অতিরিক্ত মাত্রায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে দেখা দিতে পারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে রয়েছে অ্যান্টিথ্রোম্বোটিক বৈশিষ্ট্য যা রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়, তবে অতিরিক্ত মাত্রায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্ত পাতলা করে দিতে পারে, যা আঘাতের পরে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া অতিরিক্ত মাত্রায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে ডায়রিয়া, গ্যাস, পেটে ব্যথা এবং অন্যান্য সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তাই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অত্যধিক গ্রহণের ফলে অভাব দেখা দিতে পারে ভিটামিন ই-এর।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য সর্বোত্তম বিকল্প। স্যামন, টুনা এবং সার্ডিন জাতীয় ফ্যাটি মাছে পাওয়া যায় ভালো পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে খাওয়া উচিত ভিটামিন ই। কোনও ওষুধ সেবন করলে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করা নিরাপদ কিনা সে সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে ধীরে ধীরে রোগের আবাসস্থল হয়ে উঠতে পারে শরীর।