আজ থেকে শুরু নতুন বছর ২০২৫। নববর্ষে ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করার পাশাপাশি খারাপ অভ্যাসগুলি পরিবর্তন করে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি গ্রহণ করার সংকল্প গ্রহণ করা উচিত। সুস্থ থাকার জন্য কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এই পদ্ধতিগুলো সুস্থ রাখার পাশাপাশি আরও উদ্যমী করে তুলবে। যেমন লবণ শরীরের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু এটি বেশি খেলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তাই লবণ ন্যূনতম পরিমাণে খাওয়া উচিত। লবণ কম খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি, হৃদরোগের ঝুঁকি, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়, হাড় মজবুত থাকে এবং শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় থাকে।

সুষম খাদ্য সুস্থ থাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিভিন্ন ধরনের খাবার খেলে শরীর প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পায়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিভিন্ন ধরনের খাবার হিসেবে খাদ্যতালিকায় ফল, সবজি, ডাল, শস্য, দুধ এবং দই অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। সব রঙের ফল ও সবজি খেতে হবে। এছাড়া খাদ্যতালিকায় বাদাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অস্বাস্থ্যকর চর্বি ও তেল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এগুলো অতিরিক্ত খেলে স্থূলতা, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং তেলযুক্ত খাবার খাওয়া কমানোর জন্য ভাজা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে, ঘি এবং মাখন কম ব্যবহার করতে হবে।

অতিরিক্ত চিনি খেলে স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং দাঁতের সমস্যা হতে পারে, তাই চিনি কম খাওয়া উচিত। চিনি খাওয়া কমানোর জন্য চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে, মিষ্টি খাওয়া কমাতে হবে। চিনির পরিবর্তে মধু বা গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালকোহল পান করলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, যেমন লিভারের রোগ, ক্যান্সার এবং হৃদরোগ। মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলে অ্যালকোহল। তাই অ্যালকোহল সম্পূর্ণরূপে পরিহার করা উচিত বা যতটা সম্ভব অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা উচিত। অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকার জন্য অ্যালকোহল পার্টি থেকে এবং মদ্যপানকারী বন্ধুদের থেকে দূরে থাকা উচিত।