ডিম একটি বহুমুখী এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং অনেক ধরনের খনিজ পদার্থ। তবে ডিম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে অনেক মিথ ছড়িয়ে আছে যার কারণে মানুষ এটি খুব বেশি খাওয়া এড়িয়ে চলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিম সম্পর্কে পুষ্টিবিদদের মতামত। প্রথম মিথ হল প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচিত নয়। ডিম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্যের জন্য একটি ভালো সংযোজন হতে পারে ডিম। স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশের বিকল্প হতে পারে ডিম, যা হৃদয় বা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব না ফেলেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে।

দ্বিতীয় মিথ হল ডিম ওজন বৃদ্ধি করে। ওজন কমানোর জন্য ডিম আদর্শ। আস্ত ডিম প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখতে পারে, যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়ে যায়। তবে অতিরিক্ত ডিম খাওয়া ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। তৃতীয় মিথ হল হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো নয় ডিম। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমে স্বাভাবিকভাবেই উচ্চ পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে, কিন্তু এতে উপস্থিত কোলেস্টেরল অন্যান্য খাবারের মতো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না। উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত অন্যান্য খাবারেও ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। এছাড়াও, ডিমের কুসুমে ফ্যাট থাকে যা LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) এবং HDL (ভালো কোলেস্টেরল) মাত্রা বৃদ্ধি করে।

চতুর্থ মিথ হল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় ডিমের কুসুম। তথ্য অনুযায়ী, ডিমের সাদা অংশে বেশিরভাগ প্রোটিন থাকে, অন্যদিকে কুসুম হয় পুষ্টির পাশাপাশি কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ। গবেষণার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন এক থেকে দুটি আস্ত ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বা হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলির কোনও পরিবর্তন হয় না। পঞ্চম মিথ হল রং পার্থক্য করে ডিমের পুষ্টিগুণ। সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে বাদামী ডিম সাদা ডিমের চেয়ে স্বাস্থ্যকর। তবে, খোসার রং ডিমের পুষ্টিগুণ, গুণমান বা গঠনের উপর প্রভাব ফেলে না। রং সাধারণত মুরগির প্রজনন ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। এই মিথের কারণে সাদা ডিম বাদামী রং করে বাজারে বিক্রি করা খুব সহজ।