১৩ জুন বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় আন্তর্জাতিক অ্যালবিনিজম সচেতনতা দিবস। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল এই রোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। অ্যালবিনিজম হল এক ধরনের রোগ, যার কারণে ত্বকের রং সম্পূর্ণ বদলে যায়। এই পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করতে দেখা যায়। এই কারণেই অ্যালবিনিজম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি।
অ্যালবিনিজম একটি বংশগত রোগ যা একজন ব্যক্তির ত্বক, চুল এবং চোখের রং শরীরের অন্যান্য অংশের থেকে খুব হালকা হয়ে যায়। শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম মেলানিন থাকার কারণে এমন হয়। মেলানিন ত্বক, চুল এবং চোখকে রং প্রদান করে। দৃষ্টির সমস্যা ছাড়া অ্যালবিনিজম রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষ অন্যদের মতোই সুস্থ। একজন ব্যক্তি কতটা মেলানিন তৈরি করে তার উপর অ্যালবিনিজমের লক্ষণ নির্ভর করে। এই রোগের লক্ষণগুলো হল ফ্যাকাশে চামড়া, চুলের রং বাদামী, লাল বা খুব হালকা স্বর্ণকেশী। চোখের রং বাদামী বা হালকা বাদামী, গোলাপী, হালকা নীল বা সবুজ হয়। এছাড়া বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় চোখে।
বেশিরভাগ সময় অ্যালবিনিজমে আক্রান্ত রোগীরা পিতা মাতার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে জিন পেয়েছে। তবে এমনও অ্যালবিনিজম আক্রান্ত রয়েছে যারা পিতামাতার কাছ থেকে কোনও উপসর্গ পায় না। কখনও কখনও মিউটেশন বা নতুন জিনের পরিবর্তনের কারণে অ্যালবিনিজম রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অ্যালবিনিজমে আক্রান্তরা সাধারণত সুস্থ, তবে চোখ এবং ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। চোখের যত্ন নেওয়ার জন্য, অ্যালবিনিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের চক্ষু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত। সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করা জরুরি। অ্যালবিনিজমযুক্ত ব্যক্তিদের ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই এই রোগীদের বাইরে যাওয়ার সময় ত্বকে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করা উচিত। এছাড়া বছরে ১-২ বার ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।