বেশ কিছু রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় অসচেতনতা, এমনই একটি রোগ হল মৃগী বা খিঁচুনি। সাধারণত মানুষের মধ্যে মৃগী বা খিঁচুনি রোগ নিয়ে সচেতনতার বেশ অভাব রয়েছে। মৃগী নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুবিক রোগ। এই রোগ হলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন স্নায়ুকোশের মধ্যে চলতে থাকে ইলেকট্রিক আদানপ্রদান। কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ২৪ ঘন্টার মধ্যে পর পর দুবার খিঁচুনি দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রায় ৫ কোটি মানুষ এই মৃগী রোগে আক্রান্ত। ছোট থেকে বড় যেকোনও বয়সের মানুষের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি দেখতে পাওয়া যায়। এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব না হলেও অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রতিদিন ওষুধ খেয়ে যান। মৃগী হলে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। শরীরে ব্যথা, শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া, শরীর কাঁপতে থাকা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

হঠাৎ ভয় বা আতঙ্কিত হওয়া প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে মৃগী রোগের। মৃগী রোগের কারণ অনেক কিছু হতে পারে। ব্রেন স্ট্রোক, মাথায় আঘাত, ড্রাগ বা অ্যালকোহল, মস্তিষ্কের সংক্রমণ এইগুলি কারণ হতে পারে মৃগী রোগের। এনএইচএস-এর মতে, মৃগীরোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ওষুধ হল অ্যান্টি-এপিলেপটিক। ১০ জনের মধ্যে ৭ জন লোক মৃগীরোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যবহার করে এই ওষুধ।