Credits: Wikimedia Commons

শীতকালে খাদ্যতালিকায় এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করা হয় যা শরীরকে উষ্ণ করে এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হয়। এমনই একটি খাবার হল খেজুর। পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ভাবে উপকারী। সাম্প্রতিক সময়ে, এটি চিনির বিকল্প হিসেবে ফিটনেস ফ্রিকদের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খেজুর একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। সঠিক উপায়ে এবং সঠিক সময়ে খাওয়া হলে খেজুর অনেকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আয়ুর্বেদ অনুসারে, খেজুর শীতল ও প্রশান্তিদায়ক প্রকৃতির এবং শক্তিও দেয়। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং খেজুর আয়রনের একটি চমৎকার উৎস। এছাড়াও খেজুর খেলে উচ্চ কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ কমে। খেজুরে ম্যাগনেসিয়াম বেশি এবং এতে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হিসেবে কাজ করে খেজুর। ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপারও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় খেজুরে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে খেজুর উপকারী। খেজুর নিয়মিত খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। খেজুর ক্যালসিয়ামের ভান্ডার, যা খেলে হাড় মজবুত হয়। খেজুর নারী ও পুরুষ উভয়ের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে। খেজুর থেকে উপকারিতা পেতে হলে সঠিক সময়ে খাওয়া খুবই জরুরি। সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। এছাড়া বিকেলের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে খেজুর। ওজন বাড়াতে চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে ঘি দিয়ে খেজুর খেলে উপকার পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, প্রথমে ২টি করে খেজুর খাওয়া শুরু করা উচিত। তবে ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ৪টি করে খাওয়া যেতে পারে।