![](https://bnst1.latestly.com/uploads/images/2025/02/1-294861225-380x214.webp?width=380&height=214)
মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালন করা হয় বিশ্বকর্মা জয়ন্তী। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, দেবতাদের ভবন, দিব্য অস্ত্র এবং রথ ইত্যাদি তৈরি করেছিলেন ভগবান বিশ্বকর্মা। এই জন্য মহাবিশ্বের প্রথম প্রকৌশলীও বলা হয় তাঁকে। হিন্দু ভক্তরা এই দিনে তাদের জীবনে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং সমৃদ্ধির জন্য পুজো করেন ভগবান বিশ্বকর্মার। এই দিনে অস্ত্র ও কারখানাগুলিতে বিশেষ প্রার্থনা ও উপাসনা করা হয়, যেখানে কারিগর এবং প্রকৌশলীরা অংশ নেন এবং তাদের কাজ ও ব্যবসায় অনুপ্রেরণা এবং নির্দেশনা পান। ২০২৫ সালে বিশ্বকর্মা জয়ন্তী পালিত হবে ১০ ফেব্রুয়ারি, বুধবার। মাঘ শুক্লপক্ষ ত্রয়োদশী শুরু হবে ০৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ০৭:২৫ মিনিটে এবং শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ০৬:৫৭ মিনিটে।
উদয় তিথির নিয়ম অনুসারে, বিশ্বকর্মা জয়ন্তী পালন করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশীতে বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে স্নান করার পর পুজো স্থানে একটি হলুদ কাপড় বিছিয়ে ভগবান বিশ্বকর্মার মূর্তি বা ছবি স্থাপন করা হয়। এরপর মন্ত্র জপ করে পুজো করা হয়। ভগবানকে ফুল, রোলি, পান, সুপারি নিবেদন করা হয়। প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় লাড্ডু। এরপর মেশিন, যানবাহন, কারখানার সরঞ্জামে স্বস্তিকা তৈরি করে ফুল অর্পণ করা হয়। সবশেষে ভগবান বিশ্বকর্মার আরতি করে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে যথাযথ রীতিনীতি মেনে ভগবান বিশ্বকর্মার পুজো করার পাশাপাশি কারখানা, যন্ত্রপাতি, যানবাহন এবং অস্ত্রের পুজো করারও বিধান রয়েছে।
মানুষ তাদের কাজে সাফল্য এবং অগ্রগতির জন্য ভগবান বিশ্বকর্মার আশীর্বাদ কামনা করে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান বিশ্বকর্মা স্বর্গের পুষ্পক বিমান, কুবেরপুরী, স্বর্গ, সোনার লঙ্কা, দ্বারকা নগরী, শিবের ত্রিশূল, বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র ইত্যাদি সৃষ্টি করেছিলেন। বিশ্বকর্মা জয়ন্তী পালনের মাধ্যমে, মহাবিশ্বে তাঁর অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। দেশের কিছু অংশে বছরে দুবার পালন করা হয় বিশ্বকর্মা জয়ন্তী। কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মতে ভগবান বিশ্বকর্মার জন্ম হয়েছিল মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশীতে, যেখানে অন্য কিছু প্রতিষ্ঠানের মতে, ভগবান বিশ্বকর্মার জন্ম হয়েছিল আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদে। তাই বছরে দুবার পালন করা হয় বিশ্বকর্মা জয়ন্তী।