বাংলা পঞ্জিকা মতে ২১ ফেব্রুয়ারি ৮ ফাল্গুন, বিকেল ৫.৪১ মিনিটে তিথি লাগছে মহাশিবরাত্রির এবং ২২ ফেব্রুয়ারি ৯ ফাল্গুন ৬.৩৯ মিনিটে ছেড়ে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে উপবাস রেখে শিবের মাথায় জল ঢালতে হবে। শিবপূরাণে বলা রয়েছে, চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি পালিত হলেও প্রস্তুতি শুরু করতে হবে ত্রয়োদশীর দিন থেকেই। সেই অনুসারে ত্রয়োদশীর দিন এক বেলা নিরামিষ ভোজন করতে হয়। এরপর চতুর্দশীর দিন সকাল থেকে চার প্রহরে করতে হয় শিবরাত্রির পুজো৷
প্রতি প্রহরের পুজোর আচার ও বিধি-
- প্রথম প্রহরে দুধ দিয়ে স্নান করতে হবে। দুধ দ্বারা স্নানের মন্ত্র: ‘ইদং স্নানীয় দুগ্ধং ওঁ হৌং ঈশানায় নমঃ’৷ এই মন্ত্রটি বলে শিবকে দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে একটি অর্ঘ্য নিবেদনের পরে জল দিয়ে স্নান করাতে হবে। আরও পড়ুন, মহাশিবরাত্রিতেই শিবলিঙ্গের রূপে পুজো করেছিলেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু, রয়েছে এক বিস্তর ইতিহাস
- দ্বিতীয় প্রহরের পুজোতে দই দিয়ে স্নানের মন্ত্র: ‘ইদং স্নানীয় দধিং ওঁ হৌং অঘোরোয় নমঃ’ ৷ এই মন্ত্রটি বলে শিবকে দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে একটি অর্ঘ্য নিবেদনের পরে জল দিয়ে স্নান করাতে হবে।
- তৃতীয় প্রহরের পুজোতে ঘি দিয়ে স্নানের মন্ত্র: ‘ইদং স্নানীয় ঘৃতং ওঁ হৌং বামদেবায় নমঃ’৷এই মন্ত্রটি বলে শিবকে দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে একটি অর্ঘ্য নিবেদনের পরে জল দিয়ে স্নান করাতে হবে।
- চতুর্থ প্রহরের পুজোতে মধু দিয়ে স্নানের মন্ত্র: ‘ইদং স্নানীয় মধুং ওঁ হৌং সদ্যজাতায় নমঃ’৷এই মন্ত্রটি বলে শিবকে দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে একটি অর্ঘ্য নিবেদনের পরে জল দিয়ে স্নান করাতে হবে।
বেলপাতা, চন্দন, আকন্দ ফুলের মালা, নীলকণ্ঠ ফুল এগুলি নিবেদন করতে হবে। শিবের ১০৮ টি নাম জপ করা, শিবস্তোত্র পাঠ, শিবের মন্ত্র পথ করতে হবে। প্রতিটি প্রহর জাগতে হবে।