বসন্তকাল থেকে উদ্ভূত বসন্ত পঞ্চমী, মাঘ মাসের পঞ্চম দিনে সূচনা হয় বসন্তের, ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে। বসন্ত পঞ্চমীর দিনে দেবী সরস্বতী পুজো করা হয়। ২০২৫ সালে সরস্বতী পুজো পালন করা হবে ২ ফেব্রুয়ারি। দেবী সরস্বতী হলেন জ্ঞান, প্রজ্ঞা, শিক্ষা এবং শিল্পের মূর্ত প্রতীক। গোটা ভারত জুড়ে এদিন সকালে ভক্তরা তাড়াতাড়ি উঠে দেবী সরস্বতীর পছন্দের রং হলুদ পোশাকে সাজিয়ে তোলে নিজেদের। বাংলায় সরস্বতী পুজো পালিত হয় বিস্তৃত সাজসজ্জার সঙ্গে, যার মধ্যে রয়েছে প্যান্ডেল, আলপনা ও ফুলের সাজ।

বসন্ত পঞ্চমীর দিন বিভিন্ন ধরনের ফল ও মিষ্টান্ন নিবেদন করা হয় মা সরস্বতীকে। বাড়িতেও তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন যেমন নারু, মোয়া, চাল মাখা এবং ডাল মাখা। এই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী জাতিগত পোশাক পরে একত্রিত হতে দেখা যায় সবাইকে, যা উৎসবের আনন্দকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বসন্ত পঞ্চমী পশ্চিমবঙ্গে সরস্বতী পুজো নামে পরিচিত হলেও তরুণদের জন্য এটি বাঙালিদের ভ্যালেন্টাইনস ডে। সারা বাংলা জুড়ে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত যুগলদের হাতে হাত রেখে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা যায় এদিন, এককথায় এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হয় রোমান্সের স্পর্শ।

সরস্বতী পুজোয় শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যপুস্তক, নোটবুক, কলম, পেন-পেন্সিল এবং রেফারেন্স সামগ্রীগুলি দেবীর মঙ্গলময় দৃষ্টিতে রাখে, শিক্ষাগত সাফল্যের জন্য তাঁর আশীর্বাদে নেওয়া হয় এদিন। যুগ যুগ ধরে দেখতে পাওয়া যায় সরস্বতী পুজোর দিন ছেলেদের দল মেয়েদের স্কুল ও হোস্টেলে এবং মেয়েদের দল ছেলেদের স্কুল ও হোস্টেলে যায়। এই দিনে বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষদের সময় কাটানো পছন্দ করে সকলেই। সরস্বতী পুজো এমন একটি দিন যখন শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক রুটিন এবং পারিবারিক বাধ্যবাধকতা থেকে বৈধভাবে বিরতি নিতে পারে।