প্রতি বছর ২৪ জানুয়ারি অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হয় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস। ভারতীয় সমাজে মেয়েদের মুখোমুখি হওয়া বৈষম্য সম্পর্কে জনসচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ২০০৮ সালে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালন করা শুরু করে নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক এবং ভারত সরকার। এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রতি বৈষম্য দূর করে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা। ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের।
জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের দিনে মেয়েদের আত্মনির্ভরশীল হতে এবং তাদের জীবন উন্নত করতে অনুপ্রাণিত করা হয়। এই দিনটি মেয়েদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমতার মতো বিষয়গুলিতে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের ইতিহাস ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে জড়িত। এই দিনে ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করে নারী ক্ষমতায়নের এক মহান উদাহরণ উপস্থাপন করেছিলেন। তাই জাতীয় কন্যা শিশু দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ২৪ জানুয়ারি দিনটিকে।
স্বাধীন ভারত সৃষ্টির সময় মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হত এবং শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হত। মেয়েদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সময়ে সময়ে কল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে আসছে ভারত সরকার। ২০১৫ সালে চালু করা হয় 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্প। এরপর 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' মিশনের অংশ হিসেবে চালু করা হয় 'সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা'। এই যোজনার উদ্দেশ্য হল মেয়েদের ভবিষ্যৎ অর্থাৎ তাদের শিক্ষা এবং বিবাহের খরচের জন্য সঞ্চয় করতে অভিভাবকদের উৎসাহিত করা। এছাড়া দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা পরিবারের মেয়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ১৯৯৭ সালে চালু করা হয় 'বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা'।