শুভ মহালয়া ২০২০।

Mahalaya 2020 Messages In Bengali: "আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর; ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা; প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমন বার্তা।।" মহালয়ার (Shubho Mahalaya 2020) ভোরে আপামর বাঙালির ঘুম ভাঙে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহিষাসুরমর্দিনীর স্তোত্রপাঠে। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ (Birendra Krishna Bhadra) ছাড়াও আকাশবানীর এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন পঙ্কজকুমার মল্লিক, বানীকুমার। শরতের আকাশে পেজা তুলোর মত মেঘ এবং মাঠে-ঘাটে কাশফুল জানান দেয় মা আসছে। মা দূর্গা মর্তে আসছেন। তার জন্য় বাঙালির মনে তো এক আনন্দ থাকেই, অন্যদিকে মহিষাসুরমর্দিনী প্রবাসী বাঙালির মন করে তোলে ভারাক্রান্ত। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়ার পাশাপাশি এদিন উত্তর কলকাতার গঙ্গাঘাটগুলিতে ভোর হতেই ভিড় জমতে শুরু করে তর্পণের জন্য।

পিতৃপুরুষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন সকলে। শুধু পুরুষরাই নন। মহিলারাও তর্পণে অংশগ্রহণ করেন। শাস্ত্রমতে তর্পণের ফলে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা এবং উত্তর পুরুষদের আশীর্বাদ করেন। স্নান করে শুদ্ধ চিত্তে তর্পণ করতে হয়। যব মিশ্রিত জলে দেবদর্পণ এবং কালো তিলমিশ্রিত জলে পিতৃ তর্পণ করা হয়।পূর্বপুরুষদের তিলচন্দন মিশ্রিত জলে তর্পণ করলে তাঁরা সব থেকে বেশি তৃপ্ত হন। ভোর ৫টে ২৫ থেকে বিকেল ৪টে ৩৫ পর্যন্ত মহালয়ের পুণ্যলগ্ন। সকাল ৭ টা ৪২ থেকে দুপুর ১ টা ১৮ পর্যন্ত পুণ্যতম সময়।

মহালয়ার এই দিনে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে জাগরিত হবে শুভ শক্তি। ভোর পেরিয়ে সকাল হতেই শুরু হবে শুভেচ্ছা বিনিময়। তার জন্যই লেটেস্টলি (LatestLY Bangla) বাংলা আপনাদের জন্য হাজির করছে মহালয়ার বিশেষ শুভেচ্ছাপত্র (Mahalaya Special Wish Card)। আপনিও আপনার কাছের মানুষদের পাঠিয়ে দিতে পারেন এইসব শুভেচ্ছা বার্তাগুলি (Wishes)।

আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর;
ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা;
আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর;
ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা;
প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমন বার্তা।
জাগো, জাগো দুর্গা, জাগো দশপ্রহরণধারিণী।
অভয়া শক্তি, বলপ্রদায়িনী, তুমি জাগো।
জাগো, জাগো দুর্গা, জাগো দশপ্রহরণধারিণী।
অভয়া শক্তি, বলপ্রদায়িনী, তুমি জাগো।
জাগো, তুমি জাগো।
তব অচিন্ত্য রূপচরিত মহিমা।
নব শোভা নব ধ্যান রূপায়িত প্রতিমা।
বিকশিল জ্যোতি প্রীতি মঙ্গল বরণে।
তুমি সাধনঘন ব্রহ্ম, গোধন সাধনী,
তব প্রেমনয়নবাতি নিখিল তারণী,
তব অচিন্ত্য রূপচরিত মহিমা।
নব শোভা নব ধ্যান রূপায়িত প্রতিমা।
বিকশিল জ্যোতি প্রীতি মঙ্গল বরণে।
তুমি সাধনঘন ব্রহ্ম, গোধন সাধনী,
তব প্রেমনয়নবাতি নিখিল তারণী,
কনককান্তি ঝরিছে কান্ত বদনে।
জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী ।
জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী ।
দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোঽস্তু তে ।।
মা আসছেন
মা আসছেন
আজ মহালয়া...
শুভ মহালয়া ২০২০

উল্লেখ্য, আসলে দুর্গা পুজোর সময় কিন্তু বসন্তকাল (Spring)। সেটাকে বলা হয় বাসন্তি পুজো (vasanti Puja)। ত্রেতা যুগে ভগবান রামচন্দ্র (Lord Ramachandra) অকালে দেবীকে আরাধনা করেছিলেন সীতা (Sita) উদ্ধারের জন্য। যা অকালবোধন (Akal Bodhan) নামে পরিচিত। এই পরিসরটাই বাঙালির ক্যালেন্ডারে (Bengali Calender) বছরের সেরা উৎসব (Main Festival)- দুর্গাপুজো (Durga Puja)। শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে দেবীকে পুজো করেছিলেন বলে শরতের (Autumn) এই পুজোকে বলা হয় অকালবোধন।