দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির (Picture Credits: wikimedia commons)

কলকাতা, ১ জানুয়ারি: আজ কল্পতরু উৎসব ২০২০ (Kalpataru Utsav 2020)। সকাল থেকে কাশিপুরের উদ্যানবাটি (Cossipore Udyanbati) ও দক্ষিণশ্বরে (Dakshineswar Temple) ভক্তদের সমাগম শুরু হয়েছে। নতুন বছরের রামকৃষ্ণ অনুরাগীরা কাশীপুর উদ্যানবাটিতে এসেছেন। ভিড়ে ঠাসা দক্ষিণেশ্বরও। আজ কাশীপুর রামকৃষ্ণ মহাশ্মশান, দক্ষিণেশ্বর মন্দির, বেলুড়মঠ, কামারপুকুর, আদ্যাপীঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে আয়োজিত হবে অনুষ্ঠান। হাজার হাজার ভক্তের সমাগমের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উপস্থিত রয়েছে পুলিশ ও মহিলা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ মন্দির চত্বর ঘুরে দেখে।

ইংরেজি বছরের প্রথম দিন কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব (Shri Ramakrishna Paramhansa)। সেকথা স্মরণ করেই প্রতি বছর ১ জানুয়ারি (1st January) ভিড় উপছে পড়ে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী কালী মন্দিরে (Kali Temple)। ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই শুধু কলকাতা বা আশপাশের জেলা নয়, দূরদূরান্ত থেকে ভক্তের ঢল নামে। আরও পড়ুন, গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে উঠল শুভ নববর্ষ ২০২০-র নতুন সূর্য, অভিনব ডুডল শুভেচ্ছায় মন কাড়ল নেটিজেনদের

লোকের বিশ্বাস কল্পতরুর কাছে কিছু চাইলে তা নাকি পাওয়া যায়। পুরাকালেই এর প্রচলন শুরু হয়। অবশ্য চাওয়ার মতো করে চাইতে পারলে তবেই নাকি অভীষ্ঠ লাভ হত বলে বিশ্বাস। কথিত আছে শ্রীরামকৃষ্ণও কল্পতরু হয়ে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেছিলেন বলে। মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য প্রতি বছর ১ জানুয়ারি ভবতারিণী মন্দিরে পুজো দিতে আসেন ভক্তরা। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, তাঁর শিষ্য তথা অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার গিরিশ ঘোষের গলার অসুখ তিনি নিজের গলায় ধারণ করেছিলেন। সেখানেই তিনি কল্পতরু রূপ ধারণ করেন। যার ফলেই শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস গলার ক্যান্সারে ভোগেন, তখন তিনি ছিলেন কাশীপুর উদ্যানবাটিতে। ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করতে থাকেন। বাগানে চলাফেরা করা শুরু করেন। এরপর সেবছরই তাঁর প্রয়াণ ঘটে।