শিব এবং পার্বতীর পুত্র ভগবান গজানন। যেকোনও ধরণের পুজো ও নিয়ম পালন করার সময় প্রথমে পুজো করা হয় ভগবান গণেশের। গজানন সংকষ্টী চতুর্থীর দিনটি উৎসর্গ করা হয় গণপতি বাপ্পাকে। মান্যতা রয়েছে, গজানন সংকষ্টী চতুর্থীর উপবাস এবং নিয়ম মেনে পুজো করলে ভগবান গণেশের আশীর্বাদে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির সঙ্গে সন্তান লাভের ইচ্ছাও পূরণ হয়। হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়িতে গণপতির পুজো করলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। গজানন সংকষ্টী চতুর্থীর দিন বিশেষ যোগ তৈরি হওয়ায় গজানন সংকষ্টী চতুর্থীর গুরুত্ব বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে।
গজানন সংকষ্টী চতুর্থীর উপবাস ব্যক্তির জীবনে সুখ ও শান্তি নিয়ে আসার পাশাপাশি জীবনের সমস্ত বাধা দূর করে। এছাড়া এই দিনে চাঁদের পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ২০২৪ সালে শ্রাবণ কৃষ্ণপক্ষ চতুর্থী শুরু হবে ২৪ জুলাই, বুধবার, সকাল ০৭:৩০ মিনিটে এবং শ্রাবণ কৃষ্ণপক্ষ চতুর্থী শেষ হবে ২৫ জুলাই, বৃহস্পতিবার, সকাল ০৪:৩৯ মিনিটে। উদয় তিথি অনুসারে, গজানন সংকষ্টী উপবাস পালন করা হবে ২৪ জুলাই। এদিন চন্দ্রোদয় হবে রাত ০৯:২০ মিনিটে। এদিন সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সকাল ১১:১১ মিনিট পর্যন্ত থাকবে সৌভাগ্য যোগ। সকাল ১১:১২ মিনিট থেকে গোটা দিন থাকবে শোভন যোগ। এই দুটি যোগের সময় খুবই শুভ।
শ্রাবণ কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীর দিন প্রথমে ব্রহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরে অর্ঘ্য নিবেদন করতে হয় সূর্যকে। এরপর ভগবান গজাননের ধ্যান করে শুরু করা হয় উপবাস। পুজোর স্থানে একটি হলুদ বা লাল কাপড় বিছিয়ে তার উপর স্থাপন করতে হয় ভগবান গজাননের মূর্তি। এরপর গঙ্গাজল দিয়ে গজাননের মূর্তিতে জল অর্পণ করে ধূপ প্রদীপ জ্বালাতে হয়। ভগবান গণেশের আমন্ত্রণ মন্ত্র পাঠ করে লাল ফুল অর্পণ করতে হয় ভগবান গণেশকে। এরপর ভগবানকে লাল ফুলের মালা পরিয়ে অক্ষত-কুমকুমের তিলক লাগিয়ে নৈবেদ্য হিসেবে মোদক, লাড্ডু এবং ফল নিবেদন করতে হয়। ভগবান গণেশের বৈদিক মন্ত্র জপ করে পড়তে হয় গণেশ চালিসা। তারপর গণপতি বাপ্পার আরতি করে জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে করা ভুলের ক্ষমা প্রার্থনা করে চন্দ্রকে অর্ঘ্য নিবেদন করতে হয়। পরের দিন ভঙ্গ করতে হয় উপবাস।