বিশ্বের তামাম মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল বখরি ইদ। ইসলামীয় ক্য়ালেন্ডারের দ্বাদশ তথা শেষ মাসের দশম দিনে পালিত হয় এই বখরি ইদ।কিন্তু এ বছর কবে পালিত হবে বখরি ইদ? ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। উল্লেখ্য বখরি ইদের একাধিক নাম রয়েছে। একে ইদ-উল-আজহা বা বকরা ইদও বলা হয়। অনেকে আবার একে ইদ কোরবান বা কোরবান বায়ারামি বলেও উল্লেখ করেন।
ইসলামীয় ক্যালেন্ডারে দ্বাদশ মাসকে বলা হয় দিহু-অল-হিজ্জা। খুশির ইদের মতো এখানেও চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে বখরি ইদের দিনক্ষণ।
তবে পবিত্র হজ যাত্রা শেষে হলে আসে বখরি ইদ। ইসলামের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের মধ্যে হজ যাত্রাকেও অন্যতম বলে ধরা হয়।
চলতি বছরে জুনের ২৯ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে বখরি বা কোরবানির ইদ পালিত হবে বলে জানা গিয়েছে। ইদ-উল-আজহাকে বলিদানের উৎসব হিসেবেও পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। এই দিনেই ঈশ্বরের নির্দেশে পয়গম্বর ইব্রাহিম তাঁর ছেলেকে উৎসর্গ করেন বলে ইসলামীয় ধর্মগ্রন্থগুলিতে উল্লেখ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর সৌদি আরবের মক্কায় হজ করতে যান বিশ্বের হাজার হাজার মুসলিমরা। তিন দিন স্থায়ী হয় এই তীর্থ যাত্রা। হজ শেষেই আসে বখরি ইদ। এই দিনে অনাহারে থেকে প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।এর পাশাপাশি, বখরি ইদের দিন মসজিদগুলিতেও বিশেষ নমাজের আয়োজন করা হয়। নমাজ শেষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বরীরা। এছাড়া আত্মীয় বন্ধুদের উপহারও দেন তাঁরা।
তবে ইদ-উল-ফিতরের মতোই ইদ-উল-আজহার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক রীতিনীতি। কোথাও কোথাও দুই থেকে চারদিন পর্যন্ত এই উৎসব স্থায়ী হয়।বখরি ইদের দিন প্রার্থনার পর উৎসর্গ বা বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। একেই কোরবানি বলা হয়।