রাত পোহালেই খুশির ইদ, শায়েরি থেকে কবিতা সবেতেই চলছে শুভেচ্ছা বিনিময়
প্রতীকী ছবি(File Photo)

কলকাতা, ৪ জুন:  রাত পোহালেই খুশির ইদ, মন আনন্দে মেতেছে। ইদ উল ফিতর, টানা একমাস রমজানের রোজা শেষে আসে এই খুশির ইদ। ত্যাগ ও তিতিক্ষার ৩০টা দিন কাটিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ইদ পালন করেন। মক্কা-সহ সংযুক্ত আরব আমীরশাহীতে ইদ পালিত হয় ঠিক একদিন আগে। এককথায় বলতে গেলে আজ অর্থে মঙ্গলবার ইদ পালন করছে আরব দুনিয়া, আগামীকাল ইদ পালিত হবে গোটা বিশ্বে। এই ইদকে কেন্দ্র করেই খুশিতে ভাসছে শহর কলকাতা (Kolkata)  ও গোটা পশ্চিমবঙ্গ  (West Bengal) । নতুন পোশাক থেকে খাওয়াদাওয়া ইদ মুবারক (Eid Mubarak) জমিয়ে দেবে।

উল্লেখ্য, টানা একমাস রোজা পালন করেছে মুসলিম সম্প্রদায়, রোজা শেষে আসছে ইদ, মূলত চাঁদ দেকেই ইদের দিন নির্ধারিত হয়। আজ সন্ধ্যায় ইফতার করে মগরিবের নামাজের পর প্রায় প্রত্যেক রোজাদারই চাঁদ দেখতে যান। কেউ পাড়ার ফাঁকা মাঠে, কেউ বা বাড়ির ছাদে। এক চিলতে কাস্তের ফালির মত রুপোলি রেখা সাঁঝের আকাশ আলো করে দেখা দিলেই রোজাদারের মুখে ফোটে হাসি। রাত পোহালেই যে খুশির ইদ। প্রায় তখন থেকেই পাড়ায় পাড়ায় বাজতে থাকে গজল, ইদ মুবারক জানিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু হয়ে যায় ফোনের মাধ্যমে। কেউ এসএমএস কেউ হোয়াটসঅ্যাপ, কেউ বা ভিডিও কল করেও শুভেচ্ছা জানান। অনেক পরিবারের প্রিয়জন ইদের সময় বাড়িতে থাকার সুযোগ পান না। কর্মক্ষেত্রের তীব্র ব্যস্ততা যাঁদের কোয়ালিটি টাইমকে গ্রাস করেছে তাঁরা কিন্তু ইদ পালন করেন একাই। তখন স্কাইপি, হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিওকল বাড়ির আদরের মধ্যে তাঁদের স্বাগত জানায়। এভাবেই খুশির ইদে প্রিয়জনের ছোঁয়া অনুভব করেন তাঁরা। সঙ্গে অবশ্যই চলে ইদকে নিয়ে শায়েরি  (Eid Shayari), কবিতা, ছড়ার আদানপ্রদান। কেউ চাঁদ রাতের ছবি পোস্ট করে বন্ধুদের থেকে বাহব কুড়িয়ে নেন কেউ বা আগামীকালের সাজগোজ নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নেন। আরও পড়ুন-দুঃস্থকে যথাসাধ্য সাহায্যের মধ্যেই রয়েছে রমজানের সার্থকতা

রান্নাঘরে চলে পরেরদিনের জমিয়ে খাওয়ার প্রস্তুতি। খুশির ইদে সব্বাইকেই আনন্দে থাকতে হবে, তাই সকলের পছন্দের পদই এদিনের মেনুতে থাকবে। আগের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় তার প্রস্তুতি। সাজগোজ খাওয়াদাওয়া মিলিয়ে এযেন চাঁদের হাট।