কলকাতা, ৪জুন: রমজান মাস মানেই ত্যাগ ও তিতিক্ষার মাস। এই মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা হাত খুলে দান করেন। গরীব দুঃখীদেরও খুশি হওয়ার অধিকার রয়েছে। আল্লাকে খুশি করতে হলে অবশ্যই দীনহীনকে খুশি করুন। যত বেশি দান করবেন, সেই পুণ্য জমা হবে আপনার আমল নামায়। কে কবে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে কেউ জানে না। আগামী বছর রোজা (Ramadan) আদৌ ভাগ্যে আছে কিনা তা এখনই বলতে পারি না। তাইতো রমজান মাসে প্রাণভরে দান করুন। সেই দানই একসময় আপনার পাথেয় হবে।
রোজার মাস তিনভাগে সাধারণত ভাগ হয়ে যায়। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত। প্রত্যেকটি ভাগের পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। আল্লা বলেছেন, রোজার মাসে মন শুদ্ধ থাকে, তাই যতটা সম্ভব ভাল কাজ করুন। গরীব দুঃখী অসহায়কে সাহায্য করুন। ইদ এলে আপনি যেমন নতুন পোশাক পরবেন, বাড়ির সকলকে পরাবেন, তেমনটা অন্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু আর্থিক সামর্থ তো সবাইকে সেই সুখ বা দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয় না, আপনাকে দিয়েছে তাই পালন করুন। (Ifter Food)) ইফতার সামগ্রী হিসেবে এক সন্ধ্যাতেই কতরকম ফল ও ভাজাভুজি লেহ্য পেয় সুখাদ্যে ভরে ওঠে আপনার ডাইনিং টেবিল। কিন্তু যার বাড়িতে উপার্জনক্ষম সদস্য নেই তিনি হয়তো একগ্লাস সরবত নিদেনপক্ষে চালছোলা ভেজানো দিয়ে ইফতার সারেন। তাঁর কথা চিন্তা করুন। সমাজ শুধু আমাকে আপনাকে নিয়ে তৈরি হয় না, গরীব দুঃখী, অসহায়রাও এই সমাজের অঙ্গ। তাঁরা ভাল থাকলেই, দুমুঠো খেতে পেলেই আপনার আনন্দ সার্থক হতে পারে, নাহলে আর আনন্দ কোথায়। খাইয়ে যে তৃপ্তি হয়, নিজে খেতে গেলে তা শুধু পেট পূরণেই থাকে, বাকিটা খাঁ খাঁ করে।
মনে হতেই পারে অনেকটা জ্ঞান দিয়ে ফেললাম। কিন্তু ইদ-উল ফিতরের মূল কথাই তো দান। গোটা মাস জুড়েই চলে দানধ্যান, যখন যেমন সুযোগ হয় তখন তেমন দান করা যায়। স্বর্ণালংকারের পরিমাণ অনুয়ায়ী একটা টাকার অংক নির্ধারিত হয় তার বেসিসে দান করতে পারেন। ফেতরা থাকে, সাধারণত পরিবারের সদস্য পিছু ফেতরার অংক নির্ধারিত হয়। এছাড়াও মাদ্রাসা, মসজিদ এতিমখানা(অনাথ আশ্রম)-য় দান করতে পারেন। নিঃশব্দে দান করুন, একটা জিনিস মনে রাখবেন। অন্যের খুশিতেই আপনার চিরস্থায়ী খুশি বাধা পড়ে আছে। এই তৃপ্তি যিনি একবার পেয়েছেন তাঁকে ফের সেই মোক্ষ টানবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।