Benefits of Blue Tea: কীভাবে তৈরি হয় নীল রঙের চা?  কালো বা সবুজ চায়ের থেকে কী বেশি উপকারী নীল চা?
Credit: Wikimedia Commons

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি চা পান করা হয় ভারতে। এটি একটি জনপ্রিয় পানীয়। তবে সুগার এবং অন্যান্য রোগ বাড়তে শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন রূপে আসতে শুরু করেছে চা। যেমন- ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, আইস টি, ভেষজ চা। বর্তমানে চর্চায় রয়েছে নীল চা। অপরাজিতা ফুল দিয়ে তৈরি হয় নীল চা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চায়ের রয়েছে অনেক উপকারিতা। তবে প্রথমে জেনে নেওয়া যাক ব্লু টি বা নীল চা কী।

ভেষজ চায়ের মধ্যেই পড়ে ব্লু টি বা নীল চা। এই চা তৈরি করা হয় ক্লেটোরিয়া টারনেটিয়া অর্থাৎ অপরাজিতা ফুলের শুকনো পাপড়ি থেকে, যা প্রজাপতি মটর নামেও পরিচিত। প্রথমে এক কাপ জল সামান্য গরম করে এতে ৪-৫টি অপরাজিতা ফুল দিয়ে ৫ মিনিট সিদ্ধ করে নিতে হবে। এই চা-টিকে সুগন্ধযুক্ত এবং সুস্বাদু করতে, এই চায়ের মধ্যে পুদিনা, আদা, লেমন গ্রাস যোগ করে নেওয়া যেতে পারে। সঠিকভাবে ফুটানোর পর এই চায়ের রং নীল হয়ে যায়, তাই একে নীল চা বলা হয়। এরপর এই চায়ের মধ্যে এক চামচ মধু মিশিয়ে পরিবেশন করতে হবে। এই চা সুস্বাদু এবং উপকারীও।

ব্লু টি বা নীল চায়ের উপকারিতা:

  • নীল চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা টারনিটিন কাজ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে, যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এই চা রোধ করতে পারে শরীরের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি।
  •  অপরাজিতা ফুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যার ফলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • অপরাজিতা ফুলের রস রক্তচাপ কমায়। নীল চা পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত হয়।
  • নীল চায়ে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও কোলেস্টেরল থাকে না। এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করার পাশাপাশি জাঙ্ক ফুডের লোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। তাই দিনে অন্তত একবার নীল চা খাওয়া উচিত।
  • ডায়েটিশিয়ানরা আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নীল চা পান করার পরামর্শ দেন। নীল চা হতাশা এবং উদ্বেগ থেকেও মুক্তি দেয়।
  • নীল চা নিয়মিত পান করলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়। নীল চায়ে ব্যবহৃত উপাদান রেটিনার ক্ষতি, গ্লুকোমা এবং দৃষ্টি ঝাপসা হওয়ার ঝুঁকি কমায়।