ভাদোদরা, ৬ ডিসেম্বর: পেশা (Profession) বলতে মন্দিরের সামনে বসে ভিক্ষা করে দিন গুজরান। চলার সম্বল বলতে একখানা হুইল চেয়ার। তবে শুধু একার নয়, নিজের সঙ্গে ভার নিতে হয় সন্তানেরও। ভিক্ষা করেই চালাতে হয় ছেলের পেটও। তবে নিজের শারীরিক ভার বইতে অক্ষম ভাদোদরার জ্যোত্স্না গান্ধী (Jyotsna Gandhi) যে দেশের ভার বয়ে রাতারাতি সংবাদ শিরোনামে চলে আসবেন, তা বোধ হয় স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি কেউই।
২০০৩ সাল থেকে বাকি পড়েছিল ১৫ হাজার টাকার মিউনিসিপাল ট্যাক্স (Municipal Tax)। ভিক্ষায় পাওয়া খুচরো জমিয়ে যা মিটিয়ে দিলেন তিনি। পুরো টাকাটাই তিনি মিটিয়েছেন খুচরোয়। পলিথিনের একটি ব্যাগে ১০, ২০, ৫০ টাকার নোট ছাড়াও ছিল বেশ কিছু খুচরো। যা দিয়েই সরকারি কর মেটান তিনি। সততার থেকে বড় সম্পদ কিছু হয় না। এই আদর্শের কথা ছোট থেকে শুনে এলেও জীবনে চলার পথে এই শিক্ষা কোথাও যেন হারিয়ে যায় অনেকের ক্ষেত্রেই। তবে এই পরম শিক্ষা ভোলেননি বিশেষভাবে সক্ষম ভিক্ষুক মহিলা জ্যোত্স্না। তাঁর সততার উদাহরণ উদ্বুদ্ধ করবে সেই সব মানুষদের, যাঁরা দিনের পর দিন কর ফাঁকি দিয়ে দিব্যি দিন কাটাচ্ছেন। আরও পড়ুন: MS Dhoni Humming Song: পুরনো বলিউড গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মহেন্দ্র সিংহ ধোনি
ভদোদরা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সহ কমিশনার (রেভিনিউ) জিগনেশ গোহিল এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'জ্যোত্স্না দেবী জানতেনও না তিনি ২৫ শতাংশ ছাড় পান। এতদিন ওঁর কাছে কোনও বিল পাঠানো হয়নি। সম্প্রতি দক্ষিণ জোনের জন্যে বিল ছাড়া হয়। তারপরই বকেয়া মেটাতে হাজির হন তিনি।’ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শুধু সম্পত্তি করই নয়, নিয়মিত বিদ্যুত্ বিলও (Electricity Bill) মেটান জ্যোত্স্না গান্ধী।