নয়া দিল্লি, ১০ অগাস্ট: সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে আগামী ৩১ অক্টোবর পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। সর্দার বল্লবভাই প্যাটেলের জন্মদিনে ভূ স্বর্গ ঐতিহাসিক দিন দেখতে চলেছে। জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভূ-স্বর্গে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য দু ভাগ করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সেই বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর শুক্রবার তাতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। প্রসঙ্গত, স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে লাদাখকে জম্মু-কাশ্মীর থেকে পৃথক করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হয়। জম্মু ও কাশ্মীরে পৃথক বিধানসভা থাকলেও, স্থানীয় সরকারের হাতে নিরাপত্তা বা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রের উপরই। ফলে, জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের হাতে আর্থিক ক্ষমতা ছাড়া অন্য কোনও ক্ষমতায় কার্যত থাকবে না। জম্মু ও কাশ্মীরে থাকবে ১০৭ আসনের বিধানসভা। পরে তা বাড়িয়ে ১১৪ করা হবে। ২৪টি আসন খালি থাকবে কারণ তা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পড়ছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না। আরও পড়ুন-এবার ফর্সা টুকটুকে কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করতে বাধা নেই, বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে তোলপাড়(দেখুন ভিডিও)
অন্যদিকে, ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি কেড়ে অস্থায়ীভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় পুলিস-প্রশাসন থাকবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে। সংসদের উভয়কক্ষে পাশ হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৭০টি। আর বিরোধিতা করে ভোট দিয়েছেন ৭০ জন সাংসদ।