শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই(Photo Credits: Social Media)

দেরাদুন, ২০ আগস্ট: ‘শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই’(Sher Mohammad Abbas Stanikzai)! তালিবানের সপ্তরথীর ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হতবাক দেরাদুনের সেনা অ্যাকাডেমির প্রাক্তনীরা৷ তাঁদের প্রিয় শেরু-ই কিনা আজ তালিবান নেতৃত্বের একজন৷ ১৯৮২ সালে বছর ২০-র ‘শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই’ আইএমএ-তে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিল৷ মৃদুভাষী, আপাত শান্ত ‘শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই’ অল্পদিনেই সকলর প্রিয় হয়ে ওঠে৷ আর তার আদরের নাম হয় ‘শেরু’ (sheru)৷ সেই শেরু যে কখনও তালিবানের মতো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর নেতা হতে পারে, এটা যেন মানতেই পারছেন না আইএমএ-র ১৯৮২-র ব্যাচে ‘শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই’ সতীর্থরা৷ কথা প্রসঙ্গে এক সতীর্থ ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ডিএ চতুর্বেদী সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “শেরুকে যখন দেখেছিলাম, ওর মধ্যে কট্টরপন্থী চিন্তভাবনার লেশমাত্র ছিল না।”  আরও পড়ুন-Afghanistan Crisis: আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাস থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও গাড়ি ছিনতাই তালিবানের

একই কথা বললেন আরেক সতীর্থ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল কেশর সিং শেখাওয়াত৷ তিনি জানান, একসঙ্গে সময় কাটাতাম৷ সাপ্তাহিক ছুটিতে ঘুরতে যেতাম৷ ঋষিকেশের গঙ্গায় শেরু’ সাঁতার কাটছে, এমন ছবিও আছে৷ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র  শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই’ তখন ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে এলেন৷ যখন ভারতের সেনা অ্যাকাডেমির দরজা আফগানিস্তানের জন্য খুলে গেল৷ দেড় বছর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর দেশে ফিরে গিয়ে আফগান ন্যাশনাল আর্মি-তে লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধে শামিল হয়ে ছিলেন তিনি। ইসলামিক লিবারেশন অব আফগানিস্তান-এর হয়েও যুদ্ধ করেন। ১৯৯৬-তে তালিবান যখন আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে, সে সময় আফগানিস্তানের উপবিদেশ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন৷

২০১৫-তে কাতারে তালিবান কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে নতুন কর্মজীবন শুরু করেন৷ এখন দোহায় তালিবানের আন্তার্জাতিক কার্যালয়ের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে৷ সেই ‘শেরু’, তালিবানের শীর্ষনেতৃত্বের একজন, এটা ভাবতেই চায় না মন৷ কাবুলের দখল নিয়েই তালিবান সপ্তরথীর নাম প্রকাশ্যে আনে৷ সেখানে ‘শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই!’ নামটা দেখার পর সতীর্থদের অনেকের মুখে কথা সরেনি৷