Naresh Meena. (Photo Credits: X)

রাজস্থানের টঙ্ক জেলার দেওলি-উনিয়ারা বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধমার কাণ্ড বেঁধেছিল। এক বুথে ভোটাদের জোর করে ভোট দিতে বাধ্য করার হচ্ছে এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসে নির্দল প্রার্থীর হাতে হেনস্থা হন প্রশাসনিক কর্তা। কংগ্রেসে টিকিট না পেয়ে নির্দলের হয়ে লড়া নরেশ মিনা (Naresh Meena) বুথের বাইরে রেগে গিয়ে চড় মারেন এসডিএম অমিত চৌধুরী-কে। অভিযোগ, তখন গ্রামবাসীদের তিনি জোর করে তাকে ভোট দিতে বাধ্য করছিলেন। সেই ভিডিয়ো তোলায় এক সংবাদসংস্থার রিপোর্টারের গায়ে হাত, ক্যামেরা ভেঙে দেন নরেশ মিনার সমর্থকরা। প্রশাসনিক কর্তাকে হেনস্থা করার অভিযোগে তার গ্রাম সমরাবতে ঢুকে গ্রেফতার করতে গেলে নরেশের সমর্থকরা লাঠি, অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করতে যায়। পুলিশ বারবার বলা সত্ত্বেও আত্মসমর্পণ করেননি। এরপর পুলিশের বিশেষ দল (STF) বিশাল বাহিনী নিয়ে গিয়ে নরেশকে গ্রেফতার করে।

৪৪ বছরের বিতর্কিত প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ২০২৩ রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে ৪৪ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। নরেশ ভোট কাটায় বিজেপির প্রতাপ সিংভির কাছে ৭ হাজারের কিছু কম ভোটে হেরে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের করন রাঠোর। বিজেপি নেতা কিরোদি লাল মিনা-র ভক্ত এবং কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটের ঘনিষ্ঠ নরেশ মিনা ক্ষমা চেয়ে চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে ফিরে প্রচার করেছিলেন। এবার দেওলি-উনিয়ারা উপনির্বাচনে নরেশ হাত চিহ্নে লড়তে মরিয়া ছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস তাঁকে টিকিট না দিয়ে এখানে দাঁড় করায় কাস্তর চাঁদ মীনা-কে। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি নির্দল হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

অভিযুক্ত নরেশ মিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

গত বুধবার বিজেপি শাসিত রাজস্থানের মোট সাতটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়। সেই আসনগুলি হল- ঝুনঝুনু. দৌসা, খানিভসার, চৌরাসি, সালুমবার, রামগড় এবং দেওলি-উনিয়ারা।