কৃষক আন্দোলনPhoto Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ১২ জানুয়ারি: কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে আট দফা বৈঠকের পরেও মেলেনি রফাসূত্র। এদিকে মঙ্গলবার বিতর্কিত ৩টি কৃষি আইনে ফের স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আইনগুলি কার্যকর করা যাবে না। কৃষকদের মতামত নিয়ে কেন্দ্র আইনে সংশোধন ঘটাতে রাজি হলেও, আন্দোলনকারীরা তাতে রাজি হননি। বরং সম্পূর্ণ আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় তাঁরা। তাই কমিটি গঠন করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছিল আদালত তবে আন্দোলনরত কৃষকরা কোনও কমিটি গঠনে সাড়া দেয়নি। তাদের একটাই দাবি, কোনও সংশোধন বা আলোচনা নয় তিনটি গৃহীত কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে কেন্দ্রকে।

প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, এএস বোপান্না এবং ভি রাম সুব্রহ্মণিয়নের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘এটা রাজনীতি নয়। রাজনীতি এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কাম্য।’’ কিন্তু কৃষকরা কোনও কমিটির সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত নন বলে আদালতে জানান তাঁদের হয়ে সওয়াল করতে আসা আইনজীবী এমএল শর্মা। তিনি যুক্তি দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একবারও তাঁদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন দেখাননি। তাই কোনও কমিটির সঙ্গে বসতে রাজি নন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু প্রধানবিচারপতি বলেন, ‘‘এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কিছু প্রশ্ন করা যাবে না কারণ এই মামলায় কোনও পক্ষ নন তিনি।তিনটি কৃষি আইনের বৈধতা নিয়ে আমরা যেমন উদ্বিগ্ন, তেমনি মানুষের জীবন বাঁচানোরও দায় রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের। তাই মানুষ ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য কোনও আইন স্থগিত রাখার ক্ষমতা আমাদের হাতে রয়েছে।’’ আরও পড়ুন-Narendra Modi: স্বামী বিবেকানন্দের দর্শনে অনুপ্রাণীত দেশের জাতীয় শিক্ষানীতি, যুবদিবসের বিদায়ী ভাষণে বললেন নমো

সোমবারই কেন্দ্রের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, 'কেন কেন্দ্রের তরফে কৃষকদের আবেদনে কোনও সাড়া দেওয়া হচ্ছে না? সরকারই তো ধরনার পরিবেশ তৈরি করেছে। এই আইনের প্রয়োগ রদ করা হলেই আমরা আলোচনার টেবিলে বসে কৃষকদের সমস্যার সমাধান খুঁজে বার করার নির্দেশ দেব৷ সরকার আইনের প্রয়োগ রদ করবে, নাকি আমরা স্থগিতাদেশ জারি করব?' মঙ্গলবার কথামতো তিন কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করেই দিল সুপ্রিম কোর্ট।