সুপ্রিম কোর্টের ফাইল ছবি (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৬ নভেম্বর: আগামিকাল বুধবার দেবেন্দ্র ফডনবিশ (Devendra Fadnavis) সরকার তথা মহারাষ্ট্রের বিজেপিকে (BJP) সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাত পোহালেই বিধানসভায় ফ্লোর টেস্ট। কোনও গোপন ব্যালট পদ্ধতি নয়, সরাসরি সম্প্রচার হবে এই ফ্লোর টেস্ট, জানিল দিল শীর্ষ আদালত। এদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে বিধায়কদের শপথ পাঠ করাতে হবে। খুব শীঘ্রই প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ করতে হবে। তিনিই বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন এবং আস্থা ভোট পরিচালনা করবেন। শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে অন্তর্বর্তী নির্দেশের প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

এর পরেই ফডনবিশের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি অভিযোগ করেন, ‘এটি পারিবারিক শত্রুতার ঘটনার একটি উদাহরণ৷ একজন পাওয়ার (অজিত) আমার সঙ্গে আছেন, অন্য পাওয়ার (শরদ) অন্য পক্ষে আছেন৷ আমি রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলাম ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে৷ কেউ বলেননি বিধায়কদের সমর্থনের চিঠি জাল৷ আসলে অন্য পাওয়ার (শরদ) ও তাঁর সহযোগীরা চেষ্টা করছেন ঘোড়া কেনাবেচা করতে৷ রাজ্যপালকে আক্রমণ পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না৷ তিনি কখন কী ভাবে আস্থা ভোট করবেন, সেটাও তাঁর এক্তিয়ারভুক্ত৷ আরও পড়ুন-Maharashtra Power Tussle: আমরা সত্যের জন্য লড়ছি শক্তির জন্য নয়, উদ্ধব ঠাকরের উদ্দীপিত বক্তব্যের মধ্যে ফ্লোর টেস্টে ১৬২-র বেশি বিধায়ক আনার অঙ্গীকার পাওয়ারের

এ দিনও কংগ্রেস-এনসিপির আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও শিবসেনার আইনজীবী কপিল সিবাল দাবি করেন, রাজ্যপাল এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছেন যা উড়িয়ে দিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা৷ সওয়ালের শুরুতেই তিনি দু’টি চিঠির প্রতিলিপি তুলে দেন বিচারপতিদের হাতে৷ একটি চিঠিতে গত ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি দেবেন্দ্র ফডনবিশকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷ অন্য চিঠিটির প্রতিলিপি এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের, যিনি তাঁর দিকে থাকা ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশকে৷ তাঁর যুক্তি, ‘মাননীয় বিচারপতিরা ঘোড়া কেনাবেচার কথা শুনেছেন, এখানে গোটা আস্তাবলটাই বিক্রি হয়ে যেতে পারত৷ যে ভাবে রাজনৈতিক দলগুলি পালাবদল করছিল, সেখানে রাজ্যপাল কী ভাবে বুঝবেন যে ভবিষ্যতে কী হবে? তাঁর কাছে যে প্রামাণ্য দলিল (ফড়নবীশকে লেখা অজিত পাওয়ারের চিঠি) ছিল, সেই নথির ভিত্তিতেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তাঁর এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সঠিক৷ এমন কোনও কারণ ছিল না, যেখানে এই সমর্থনের চিঠিকে রাজ্যপাল সন্দেহের চোখে দেখবেন৷’