নতুন দিল্লি, ৩০ সেপ্টেম্বর: জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা (Article 370) বাতিলের বিরোধিতা করে অনেকগুলি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদনেরই আজ শুনানি ছিল। বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ডিভিশনবেঞ্চে মামলাটি। কেন কাশ্মীরবাসীকে অজ্ঞাত রেখে উপত্যকার বিশেষ অধিকার খর্ব করা হল, তাচাইল জানতে চেয়ে মাস কানেক আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তখন মামলার শুনানিতে ডিভিশনবেঞ্চ জানিয়েছিল। কেন্দ্র চার সপ্তাহের মধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর দেবে। এদিন ছিল সেই মামলার শুনানি। মামলাকারীদের দাবি ছিল যতক্ষণ না এই কেসের মীমাংসা হচ্ছে ততক্ষণ অন্তত ৩৭০ ধারা উপত্যকায় বলবৎ থাকুক এবং, লাদাখ ও কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাঙা যাবে না।
তবে মামলাকারীদের এহেন আবদারকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেনি দেশের শীর্ষ আদালত। বরং জানানো হয়েছিল, কেন্দ্রের এই নয়া সিদ্ধান্ত পরবর্তিতে বাতিলের ক্ষমতা রাখে সুপ্রিম কোর্ট। নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে একদিকে রইল গোটা কাশ্মীর ও জম্মু। অন্যটি হল লাদাখ ও কার্গিল। আগামী ৩১ অক্টোবর থেকেই সংশ্লিষ্ট এলাকা দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পরেই সংসদের উচ্চকক্ষে কাশ্মীররের পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিলটি পাস হয়ে যায়। তবে অনেকেরই দাবি, যখন একটি রাজ্যকে ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হচ্ছে তখন সেখানকার রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো বদলানো যায় না। আরও পড়ুন-উপত্যকায় ফের সেনা জঙ্গি গুলির লড়াই, গান্ডেরওয়াল সেক্টরে নিকেশ ২ পাক জঙ্গি
রাষ্ট্রের পরিকাঠামো বিলীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যে রাজ্যপালের মতামত নেওয়া হয়েছে। এমন সাফাই দিতে ভোলেনি কেন্দ্র। ৩৭০ বিলোপর দিন থেকেই হাজারও বাধার মুখে গোটা কাশ্মীর। সেখানকার বাসিন্দারা জানেন না কী ঘটেছে। তবে টিভি চলে না, ইন্টারনেট বন্ধ, এককথায় উপত্যকাবাসী এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এনিয়ে বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশ্ন উঠলেও কেন্দ্রের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতেই এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে।