লাভের মুখ দেখতে এবার জুড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল ও এমটিএনএল

বিএসএনএল (BSNL) ভারত সঞ্চার নিগম লিমিডেট ও এমটিএনএল (MTNL) মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিডেট, এই দুই টেলিকম পরিষেবা কেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে না। বরং দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাকে জুড়ে (Marge) এদের রুগ্নাবস্থা কাটাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। বুধবার মন্ত্রীসবার বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের একথাই বললেন কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)।

Close
Search

লাভের মুখ দেখতে এবার জুড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল ও এমটিএনএল

বিএসএনএল (BSNL) ভারত সঞ্চার নিগম লিমিডেট ও এমটিএনএল (MTNL) মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিডেট, এই দুই টেলিকম পরিষেবা কেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে না। বরং দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাকে জুড়ে (Marge) এদের রুগ্নাবস্থা কাটাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। বুধবার মন্ত্রীসবার বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের একথাই বললেন কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)।

দেশ Shammi Huda|
লাভের মুখ দেখতে এবার জুড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল ও এমটিএনএল
রবিশংকর প্রসাদ (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৩ অক্টোবর: বিএসএনএল (BSNL) ভারত সঞ্চার নিগম লিমিডেট ও এমটিএনএল (MTNL) মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিডেট, এই দুই টেলিকম পরিষেবা কেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে না। বরং দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাকে জুড়ে (Marge) এদের রুগ্নাবস্থা কাটাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। বুধবার মন্ত্রীসবার বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের একথাই বললেন কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। দুই সংস্থার পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ হিসাবে তিনটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। প্রথমত বাজারে সভারিন বন্ড ছেড়ে টাকা তোলা হবে। দ্বিতীয়ত কর্মীদের স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প চালু করা হবে। তৃতীয়ত দুই সংস্থার বেশ কিছু সম্পদ বিক্রি করা হবে।

উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে বিএসএনএলের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ১৫ হাজার। এমটিএনএলের গ্রাহক ছিলেন ৬,৭০১ জন। ৩১ অগস্ট পাওয়া হিসাব অনুযায়ী মোবাইল ফোনের বাজারের ৮৯.৭৮ শতাংশ আছে বেসরকারি সংস্থাগুলির দখলে। দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দখলে আছে কেবল ১০.১১ শতাংশ। এই পরিস্থিতি কাটাতে হলে সংযুক্তিকরণ ছাড়া গতি নেই। তাছাড়া সংস্থার জমে থাকা সম্পদ বিক্রি করেও লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা একটা থেকেই যাচ্ছে। এমনিতেই সারা দেশে বিএসএনএলের মোট ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কর্মী আছেন। এমটিএনএলের কর্মীর সংখ্যা ২২ হাজার। বিএসএনএলের যা আয়, তার ৭৫ শতাংশ খরচ হয় কর্মীদের পিছনে। এমটিএনএল খরচ করে আয়ের ৮৭ শতাংশ। তাই নিজস্ব সম্পদ বিক্রি করে টেলিকম সংস্থাদুটির হাতে টাকা এলে সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে। সরকার ধরে নিচ্ছে আগামী চার বছরের মধ্যে সভারিন বন্ড বেচে উঠবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। সম্পত্তি বেচে উঠবে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। দুই সংস্থার সংযুক্তিকরণের আগে পর্যন্ত এমটিএনএল বিএসএনএলের সাবসিডিয়ারি হিসাবে কাজ করবে। আরও  পড়ুন-পিএমসি ব্যাংকের নয়া ঘোষণা, গ্রাহকরা জরুরি প্রয়োজনে অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা তুলতে পারবেন

বিএসএনএল-এর দূরাবস্থা নিয়ে দেশবাসী সরব। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার এহেন দুর্দশা কী করে হল তা জানতে অনেকদিন আগেই কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে দেশের জনগণ। জিও-কে সেরার শীর্ষে রাখতে গিয়ে বিএসেএল-কে ইচ্ছে করে দুয়োরানিতে পরিণত করেছে কেন্দ্র, এমন অভিযোগও উঠেছে বিস্তর। তবে বিজেপি সরকার সেসবে বিশেষ কান দেয়নি। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। তার পরে টেলিকম মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বাঁচানোর জন্য সরকার দেবে মোট ২৯ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। খরচ কমানোর জন্য কর্মীদের স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্পের সুযোগ দেওয়া হবে।

 

দেশ Shammi Huda|
লাভের মুখ দেখতে এবার জুড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল ও এমটিএনএল
রবিশংকর প্রসাদ (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৩ অক্টোবর: বিএসএনএল (BSNL) ভারত সঞ্চার নিগম লিমিডেট ও এমটিএনএল (MTNL) মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিডেট, এই দুই টেলিকম পরিষেবা কেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে না। বরং দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাকে জুড়ে (Marge) এদের রুগ্নাবস্থা কাটাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। বুধবার মন্ত্রীসবার বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের একথাই বললেন কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। দুই সংস্থার পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ হিসাবে তিনটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। প্রথমত বাজারে সভারিন বন্ড ছেড়ে টাকা তোলা হবে। দ্বিতীয়ত কর্মীদের স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প চালু করা হবে। তৃতীয়ত দুই সংস্থার বেশ কিছু সম্পদ বিক্রি করা হবে।

উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে বিএসএনএলের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ১৫ হাজার। এমটিএনএলের গ্রাহক ছিলেন ৬,৭০১ জন। ৩১ অগস্ট পাওয়া হিসাব অনুযায়ী মোবাইল ফোনের বাজারের ৮৯.৭৮ শতাংশ আছে বেসরকারি সংস্থাগুলির দখলে। দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দখলে আছে কেবল ১০.১১ শতাংশ। এই পরিস্থিতি কাটাতে হলে সংযুক্তিকরণ ছাড়া গতি নেই। তাছাড়া সংস্থার জমে থাকা সম্পদ বিক্রি করেও লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা একটা থেকেই যাচ্ছে। এমনিতেই সারা দেশে বিএসএনএলের মোট ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কর্মী আছেন। এমটিএনএলের কর্মীর সংখ্যা ২২ হাজার। বিএসএনএলের যা আয়, তার ৭৫ শতাংশ খরচ হয় কর্মীদের পিছনে। এমটিএনএল খরচ করে আয়ের ৮৭ শতাংশ। তাই নিজস্ব সম্পদ বিক্রি করে টেলিকম সংস্থাদুটির হাতে টাকা এলে সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে। সরকার ধরে নিচ্ছে আগামী চার বছরের মধ্যে সভারিন বন্ড বেচে উঠবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। সম্পত্তি বেচে উঠবে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। দুই সংস্থার সংযুক্তিকরণের আগে পর্যন্ত এমটিএনএল বিএসএনএলের সাবসিডিয়ারি হিসাবে কাজ করবে। আরও  পড়ুন-পিএমসি ব্যাংকের নয়া ঘোষণা, গ্রাহকরা জরুরি প্রয়োজনে অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা তুলতে পারবেন

বিএসএনএল-এর দূরাবস্থা নিয়ে দেশবাসী সরব। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার এহেন দুর্দশা কী করে হল তা জানতে অনেকদিন আগেই কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে দেশের জনগণ। জিও-কে সেরার শীর্ষে রাখতে গিয়ে বিএসেএল-কে ইচ্ছে করে দুয়োরানিতে পরিণত করেছে কেন্দ্র, এমন অভিযোগও উঠেছে বিস্তর। তবে বিজেপি সরকার সেসবে বিশেষ কান দেয়নি। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। তার পরে টেলিকম মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বাঁচানোর জন্য সরকার দেবে মোট ২৯ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। খরচ কমানোর জন্য কর্মীদের স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্পের সুযোগ দেওয়া হবে।

 

শহর পেট্রল ডিজেল
View all
Currency Price Change