অযোধ্যা, ৬ সেপ্টেম্বর: পিতৃপক্ষের (Pitra Paksha) শেষে দেবীপক্ষের সূচনায় শুরু হবে রাম মন্দিরের (Ram Temple) নির্মাণের (Construction) কাজ। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী, যেহেতু পিতৃপক্ষে প্রেতকর্ম (শ্রাদ্ধ), তর্পণ ইত্যাদি মৃত্যু-সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়, সেহেতু এই পক্ষে কোনও শুভকাজ করা হয় না। তাই পিতৃপক্ষের অবসান হলেই ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে নির্মাণ।
এটি রাম জন্মভূমি মন্দির। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার রাম জন্মভূমি তীর্থস্থানটিতে নির্মিত হচ্ছে। মন্দিরটি রাম জন্মভূমির পবিত্র স্থান হিসেবে থাকবে। হিন্দুরা স্থানটিকে রামের জন্মস্থান হিসাবে বিশ্বাস করে। এটির নির্মাণকাজ শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র দ্বারা পরিচালিত হবে। গত ৫ অগস্ট মন্দিরের ভূমি পূজা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ভুমিপুজো করেছিলেন। আরও পড়ুন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে করোনা আক্রান্ত যুবতিকে ধর্ষণ অ্যাম্বুলেন্স চালকের
৪০কিলো ওজনের রুপোর ইট দিয়ে রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদি। এই মুহূর্তটি হল প্রতীকীর মতো, যার জন্য টানা কয়েক দশক ধরে লড়েছে তাঁর দল বিজেপি। একদা যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল, সেখানে রাম মন্দির তৈরিতে লেগে গেল ৪ দশক সময়। স্বাধীন ভারতের এক স্বরণীয় মুহূর্ত এটি, এমনটাই মনে করে শাসক বিজেপি। যা ভগবান রামের মতাদর্শকেই তুলে ধরে।
৩০-৪০ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্দিরটি ভারতের প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী নির্মাণ কৌশলগুলি মেনে নির্মিত হবে। এটি ভূমিকম্প, ঝড় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ রোধী নির্মিত হবে। মন্দির নির্মাণে লোহা ব্যবহার করা হবে না। মন্দির নির্মাণের জন্য তামার প্লেট ব্যবহার করা হবে পাথর ব্লক জুড়তে। প্লেট হবে ১৮ ইঞ্চি লম্বা, ৩০ মিমি চওড়া। মোট ১০ হাজার প্লেটের প্রয়োজন হতে পারে। রামভক্তদের ট্রাস্টের কাছে এই জাতীয় তামার প্লেট দান করার জন্য আহ্বান জানায় ট্রাস্ট। দাতারা এই প্লেটে পরিবারের নাম, স্থান বা তাঁদের সম্প্রদায়ের মন্দিরগুলির নাম খোদাই করতে পারেন। এইভাবে, তামার প্লেটগুলি কেবল এদেশের ঐক্যের প্রতীক নয়, মন্দির নির্মাণে সমগ্র দেশের অবদানেরও প্রমাণ হিসাবে প্রমাণিত হবে বলে জানায় তারা। ১০০ জন শ্রমিক এই মন্দির গঠনের কাজ করবে। প্রত্যেককে করোনা টেস্ট করিয়েই কাজ করানো হবে।