মুম্বই, ২৪ মার্চ: মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের (coronavirus cases) সংখ্যা পৌঁছে গেল ১০১-এ। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে আজই তিনজন নতুন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এঁদের মধ্যে দুজন পুনের ও একজন সাতারা এলাকার বাসিন্দা। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে কার্ফিউ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বাড়ির বাইরে না বেরোতে রাজ্যবাসীকে অনুরোধও করলেন তিনি। সোমবার ফিলিপিন্সের নাগরিক করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর মারা গেলেনে। এই নিয়ে মহারাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা পৌঁছালো তিনে। যেখানে কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা হু হু করে বেড়েই চলেছ। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখনই যদি কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা না করি তাহলে আক্রান্তে দেশগুলি ভয়াবহতাকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। তাই বাধ্য হয়েই কার্ফিউ জারি করতে হচ্ছে।”
এদিকে করোনাভাইরাসের ত্রাসে আগেই আন্তার্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ থেকে দেশের মধ্যেও চলবে না বিমান। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কাশ্মীরি পড়ুয়ারা (Kashmiri Students)। বিক্ষুব্ধদের দাবি, এবার কীকরে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন। করোনাভাইরাসের কামড় থেক বাঁচতে বাড়িতে ফেরার জন্য তাঁর টিকিট আগেই কেটে ফেলেছেন। তবে সেই টিকিট ২৭ ও ২৮ মার্চের। এদিকে ২৫ তারিখ থেকেই চলবে না বিমান। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কাশ্মীরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার। অনুরোধ জানালেন পড়ুয়ারা। এহেন সরকারি ঘোষণায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছে পড়ুয়ার দল। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে একজন জানিয়েছেন, এখন আমরা কী করব? আরও পড়ুন-Kashmiri Students Protest In Bengaluru Airport After Govt Suspends Domestic Airline Services: কাল থেকে চলবে না আন্তঃরাজ্য বিমান, বাড়ি ফিরতে না পেরে বিক্ষোভে কাশ্মীরি পড়ুয়ারা
Total number of positive Coronavirus cases in Maharashtra rises to 101 including 3 new cases in Pune and 1 in Satara: Health Department, Maharashtra pic.twitter.com/EHM4hixF1d
— ANI (@ANI) March 24, 2020
করোনার ত্রাসে রাজধানী শহরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। রাজ্যজুড়ে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে খালি হয়ে গেল শাহিন বাগ (Shaheen Bagh)। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত মারণ ভাইরাস প্রতিরোধে দিল্লি সরকার গোটা রাজ্য ১৪৪ ধারা জারি করতেই কাজ হল। খুব স্বাভাবিকভাবেই সব ধরনের জনতার মজলিস, জমায়েত, আন্দোলন, সমাবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে। পুলিশ, সুশীল সমাজ ও সরকারের আবেদন সত্ত্বেও সোমবার রাস্তা ছেড়ে উঠতে অস্বীকার করেছিল শাহীনবাগের আবেদনকারীরা। গত দু সপ্তাহ ধরে শাহিন বাগ খালি করার কথা বলা হলেও তাতে কোনওরকম তাপ উত্তাপ দেখায়নি আবেদনকারীরা। তবে রবিবার যখন গোটা দেশ জনতা কার্ফিউয়ে শামিল হল তখন থেকেই আন্দোলনকারীদের সংখ্যা কমতে শুরু করে।