বেঙ্গালুরু, ২৪ মার্চ: করোনাভাইরাসের ত্রাসে আগেই আন্তার্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ থেকে দেশের মধ্যেও চলবে না বিমান। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কাশ্মীরি পড়ুয়ারা (Kashmiri Students)। বিক্ষুব্ধদের দাবি, এবার কীকরে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন। করোনাভাইরাসের কামড় থেক বাঁচতে বাড়িতে ফেরার জন্য তাঁর টিকিট আগেই কেটে ফেলেছেন। তবে সেই টিকিট ২৭ ও ২৮ মার্চের। এদিকে ২৫ তারিখ থেকেই চলবে না বিমান। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কাশ্মীরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার। অনুরোধ জানালেন পড়ুয়ারা। এহেন সরকারি ঘোষণায় রীতিমোত বেঙে পড়েছে পড়ুয়ার দল। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে একজন জানিয়েছেন, এখন আমরা কী করব?
সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে করোনার ত্রাস কমাতে ২৫ তারিখ থেকে দেশের মধ্যে আন্তঃরাজ্য বিমান চলাচল বন্ধ হবে। অসামরিক পরিবহন মন্ত্রকের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার আগেি এক সপ্তাহের জন্য আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ করে দিয়েছে। আরও পড়ুন-Shaheen Bagh Protest Site Cleared: করোনা রুখতে ১৪৪ ধারা জারি, লকডাউনের মধ্যেই খালি হল শাহিন বাগ
Karnataka: A group of Kashmiri students held protest at Bengaluru Airport y'day after suspension of operations of domestic airlines. A student says, "We've booked tickets to Kashmir for flights scheduled on 27&28 March;now this order has been issued.What will we do now?" #COVID19 pic.twitter.com/yCHvq9zp8W
— ANI (@ANI) March 24, 2020
এদিকে দেশের ৩০টি রাজ্যে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন চলবে। দেশের ৭২০টি জেলার মধ্যে ৫৪৮টিতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। রাজ্যগুলো নিজের নিজের মতো করে লকডাউন চালু করেছে। তবে এই তালিকায় এখনও যুক্ত হয়নি, উত্তর ও মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়িশা। করোনার ত্রাসে রাজধানী শহরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। রাজ্যজুড়ে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে খালি হয়ে গেল শাহিন বাগ (Shaheen Bagh)। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত মারণ ভাইরাস প্রতিরোধে দিল্লি সরকার গোটা রাজ্য ১৪৪ ধারা জারি করতেই কাজ হল। খুব স্বাভাবিকভাবেই সব ধরনের জনতার মজলিস, জমায়েত, আন্দোলন, সমাবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে। পুলিশ, সুশীল সমাজ ও সরকারের আবেদন সত্ত্বেও সোমবার রাস্তা ছেড়ে উঠতে অস্বীকার করেছিল শাহীনবাগের আবেদনকারীরা। গত দু সপ্তাহ ধরে শাহিন বাগ খালি করার কথা বলা হলেও তাতে কোনওরকম তাপ উত্তাপ দেখায়নি আবেদনকারীরা। তবে রবিবার যখন গোটা দেশ জনতা কার্ফিউয়ে শামিল হল তখন থেকেই আন্দোলনকারীদের সংখ্যা কমতে শুরু করে।