নতুন দিল্লি, ১৯ জুন: লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে দুই দেশের সেনা সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন। এই ঘটনার পরে পরেই আজ শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে বিহারে আরজেডিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই তথ্য দিয়েছেন আরজেটি নেতা তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। একইভাবে আম আদমি পার্টিকেও এই সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকেননি মোদি, জানালেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং। সর্বদলীয় বৈঠকে কেন্দ্রের এহেন দুমুখো নীতি দেখে এদিন আরজেটি প্রধান তেজস্বী যাদব জানতে চাইলেন কীসের ভিত্তিতে কোনও রাজনৈতিক দলকে সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকা হচ্ছে। প্রিয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রিয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গলওয়ান উপত্যাকায় চিনা সেনার হামলা সংক্রান্ত সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে কী কী লাগছে জানতে চাই।
কেননা তাঁর দল এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কোনও আমন্ত্রণ পায়নি। তবে এটাও ঠিক লোকসভায় এই মুহূর্তে কোনও আরজেডি সাংসদ নেই। তবে রাজ্য সবায় পাঁচজন আরজেডি সাংসদ বর্তমান। বলা বাহুল্য, চলতি বছরেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি সমর্থিত জেডিইউ। আর প্রধান বিরোধী আরজেডি। সেই দলকেই কিনা সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হল না। সঞ্জয় সিং টুইটে লিখেছেন, আপ দিল্লিতে ক্ষমতায় রয়েছে। পাঞ্জাবেও আপের হাতেই ক্ষমতার রাশ। এদিকে কেন্দ্র বিজেপি সরকার। তাই ইগো সামলাতে একাজ করেছে বিজেপি। গোটা দেশে এর ৪ জন সাংসদও রয়েছে। তবুও দেশের সমস্যায় বিজেপি আপের কোনও মতামত চায় না। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে থাকছেন মমতা ব্যানার্জি
Dear @DefenceMinIndia @PMOIndia, Just wish to know the criteria for inviting political parties for tomorrow's #AllPartyMeet on #GalwanValley. I mean the grounds of inclusion/exclusion. Because our party @RJDforIndia hasn't received any message so far.
— Tejashwi Yadav (@yadavtejashwi) June 18, 2020
केन्द्र में एक अजीब अहंकार ग्रस्त सरकार चल रही है आम आदमी पार्टी की दिल्ली में सरकार है पंजाब में मुख्य विपक्षी पार्टी है 4 सांसद हैं देश भर में संगठन लेकिन किसी महत्वपूर्ण विषय पर भाजपा को AAP की राय नही चाहिये कल की बैठक में प्रधानमंत्री जी क्या बोलेंगे पूरे देश को इंतज़ार है?
— Sanjay Singh AAP (@SanjayAzadSln) June 18, 2020
এই সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ঠিক কী বলবেন, তা জানতে মুখিয়ে আছে গোটা দেশ। বৈঠক ডাকার সময়েই অংশ গ্রহণকারী দলগুলিকে জানানো হয়েছে যে চিনের সঙ্গে ভারতের বর্তমান অবস্থান নিয়ে আলোচনা হবে মুখ্যত। চিন নিয়ে কেন্দ্র কী সিদ্ধান্ত নেবে তাই সব দলের মধ্যে আলোচনা করা হবে। এই সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। সিপিআইএম নেতা ডি রাজা ও সীতারাম ইয়েচুরি।