মোদি ও মমতা (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ১৯ জুন:  মহামারী করোনাভাইরাসের থাবায় দেশ ঘোর বিপদে। হু হু করে প্রতিদিন সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এদিকে টানা লকডাউনে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজও দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারেনি। এর মধ্যে প্রতিটা রাজ্যেই বাড়ছে ক্ষোভ। বিরোধীদের দাবি পরিকল্পনাহীন লকডাউনে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ রোজগার হারিয়ে এখন বেকার। সেসব নিয়ে সরকারের মাথাব্যতা নেই। লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোরও কোনও উন্নতি হয়নি। তাই লকডাউন শিথিল হতেই সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে। এর মধ্যেই আজ শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আশা করা যাচ্ছে মমতা ব্যানার্জিও (Mamata Banerjee) সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

করোনার জেরে এখন রাজধানীতে চাঁদের হাট বসার সুযোগ নেই। ভিডিও কনফারেন্সেই হবে বৈঠক। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। আলোচ্য বিষয় অবশ্।ই চিন। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের অংশে ঢুকে ঘাঁটি গেড়েছে লাল ফৌজ। সীমান্ত সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই ২০ জন ভারতীয় সেনার প্রাণ গিয়েছে। আহত ৫৮ জন সেনা জওয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিনের এই অযাচিত হামলার জবাব দিতে যে ভারত সেখানে এয়ার স্ট্রাইকের মতো ঘটনা ঘটাবে না, তা এই ৪৮ ঘণ্টায় দিব্যি বোঝা গিয়েছে। বরং বেজিংকে আলোচনায় ডেকে সমস্যা মিটিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর নয়াদিল্লি। দেশের একাংশ কিনে এত সহজে চিনকে ছাড়তে রাজি নয়। ইতিমধ্যেই চিনা পণ্য পুড়িয়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। চিনা খাবার বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। রেল চিনের বরাত বাতিল করে দিয়েছে। আরও পড়ুন-India-China Standoff: লাদাখে সংঘাতের পর কোনও ভারতীয় জওয়ান নিখোঁজ নেই, জানিয়ে দিল সেনা ও বিদেশমন্ত্রক

এই পরিস্থিতিতে যাতে চিনকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে কেন্দ্র করোনার সংক্রমণ ও কোমর ভেঙে যাওয়া অর্থনীতির হাল ফেরানোর কাজ ঢিলেমি না দেয় সেদিকেই লক্ষ্য রাখতে তৈরি বিরোধীরা। মমতা ব্যানার্জিও থাকছেন আজকের বৈঠকে। আগে ১৬ ও ১৭ জুন করোনা সম্পর্কিত বৈঠকে তাঁকে বলতে দেওয়ার ব্যবস্থা না হওয়ায়, তিনি সেই বৈঠকে ছিলেন না। তবে আজকের বিষয়টি অন্য।