প্রশান্ত কিশোর (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ৩ মার্চ: ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূলকে হারাতে উঠেপড়ে লেগেছে বিরোধী গেরুয়া শিবির। এদিকে এহেন পরিস্থিতিতে ফের একবার পুরোনো উদ্ধৃতি আওড়ালেন শাসক তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ১০০টি আসনও পাবে না বিজেপি। বিজেপি যদি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে যায় তাহলে তিন ভোট কৌশলীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। ফের একবার জোর গলায় একথা বললেন প্রশান্ত কিশোর। সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে এদিন প্রশান্ত কিশোর বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যদি ১০০-র বেশি আসন পায় তাহলে আমি আমার কাজ ছেড়ে দেব। ভারতীয় রাজনীতির কার্যকরী কমিটি থেকে সরে যাব। অন্যকিছু করব, তবে আর রাজনীতিতে নয়। আজ যেমন আছি, তেমনভাবে আর থাকব না।”

পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারের হয়ে রাজনৈতিক কৌশলকে কাজে লাগাতে তিনি পুরোপুরি স্বাধীনতা পেয়েছিলেন। যেটা উত্তরপ্রদেশে তাঁর পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪-তে নরেন্দ্র মোদির লোকসভার প্রচারের সাফল্যের নেপথ্যেও ছিলেন এই প্রশান্ত কিশোর। নিজের ওজনের বারে যদি তৃণমূল কংগ্রেস ধসে যায়, তাহলে একমাত্র বঙ্গে বিজেপির জয়রথ আসতে পারে, নচেৎ নয়। বেশ কিছুদিন আগে এক টুইট বার্তায় একথাই উল্লেখ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তিন বলেছিলেন, “সংবাদ মাধ্যমের একাংশের হাইপে বিজেপি মাথায় উঠেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে ১০০-র গণ্ডী পেরোতে বিজেপির দম আটকে আসবে। দয়া করে এই টুইটটি সেভ করে রাখুন। যদি ভালকিছু বিজেপি করতে পারে তাহলে আমি আমার কাজ ছেড়ে দেব।” এই টুইটের জবাব কৈলাস বিজয়বর্গীয় লিখেছিলেন, “বিজেপি যদি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জিতে পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করে তাহলে দেশ এক ভোট কৌশলীকে হারাবে।” আরও পড়ুন-Ramesh Jarkiholi Caught On Tapes: সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতিতে সহবাস, প্রকাশ্যে বিজেপির মন্ত্রীর ভিডিও টেপ

নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই রাজ্যের ভোট ঘোষণা করে দিয়েছে। এরপর গত সপ্তাহেই এক টুইট বার্তায় প্রশান্ত কিশোর লেখেন, “গণতন্ত্রের পক্ষে একমাত্র লড়াই হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলা যে নিজের মেয়েকেই চায় এই বার্তায় নিশ্চিত রাজ্যবাসী। তাই সঠিক সময়ে ভোটবাক্সে তার প্রতিফলন ঘটবে।” পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২৭ মার্চ শুরু হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। অষ্টম দফার এই ভোট চলবে আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ২৭ মার্চের পর দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ১ এপ্রিল। তৃতীয় দফা ৬ এপ্রিল, চতুর্থ দফা ১০ এপ্রিল, পঞ্চম দফা ১৭ এপ্রিল, ষষ্ঠ দফা ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফা ২৬ এপ্রিল এবং অষ্টম দফার ভোটগ্রহণ হবে ২৯ এপ্রিল।