নরেন্দ্র মোদি (File Photo)

দিল্লি, ১৭ জুলাই: ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে পাকিস্তান। সেই দণ্ড রদে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ভারত। এদিন দশ বিচারপতির প্যানেলের রায় গিয়েছে ভারতের পক্ষে। হেগ শহরে বসেছিল আন্তর্জাতিক আদালত, সেখানে সাফ জানানো হয়েছে কুলভূষণের বিরুদ্ধে ওঠা মামলা ফৌজদারী আদালতে বিচার্য। আর মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করা উচিত। পাকিস্তান এক্ষেত্রে ভিয়েনা চুক্তি মানেনি, তাই পাকিস্তানকে সমালোচনাও করা হয়। আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়কে সত্য ও ন্যায়ের জয় হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আরও পড়ুন-কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড প্রসঙ্গে ভারতকে সমর্থন করল আন্তর্জাতিক আদালত

কুলভূষণের বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক আবদুল কোয়াই আহমেদ ইউসুফ বলেন, কুলভূষণের দণ্ডাজ্ঞা যতদিন না খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ততদিন তার শাস্তি স্থগিত রাখতেই হবে। পাকিস্তানের সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে, প্রত্যেক বন্দিকে জানাতে হয় তার কী অধিকার আছে। কুলভূষণকে তা জানানো হয়নি। এক্ষেত্রে পাকিস্তান ভিয়েনা কনভেনশনে গৃহীত নীতি অমান্য করেছে।পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ যতদিন কুলভূষণের শাস্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা না করছে, ততদিন তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সম্ভব নয়। ভারত অভিযোগ করেছিল, পাকিস্তান ভিয়েনা কনভেনশনে গৃহীত নীতি অমান্য করেছে। জেলে কুলভূষণের সঙ্গে ভারতের কোনও কনস্যুলেট কর্মীকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। রাষ্ট্রসঙ্ঘ ভারতের এই অবস্থান মেনে নিয়েছে। পাকিস্তানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হোক। এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, পাকিস্তান অবিলম্বে কুলভূষণকে জানাবে, তাঁর কী অধিকার আছে। ভারতের কনস্যুলেটের কর্মীদের সঙ্গেও তাঁকে দেখা করতে দিতে হবে। আমরা আশা করব, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মেনে চলবে।

বলা বাহুল্য, “আন্তর্জাতিক আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসতেই টুইট বা্র্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, এতদিনে সত্য ও ন্যায়ের জয় হল। আমার সরকার প্রত্যেক ভারতীয়র নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। আন্তর্জাতিক আদালত নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে রায় দিয়েছে। আমি নিশ্চিতকুলভূষণ যাদব ন্যায় বিচার পাবেন। আন্তার্জাতিক আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানাই।”