পাকিস্তানের (Pakistan) জেলে আটক ভারতীয় নাগরিক কূলভূষণ যাদবের (Kulbhushan Jadhav) মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ভারতের পক্ষেই রায় দিল আন্তর্জাতিক আদালত। কুলভূষণকে যেন কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়া হয়, পাকিস্তানকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। এতদিন কনস্যুলার অ্যাকসেস না দিয়ে পাকিস্তান ভিয়েনা চুক্তি ভঙ্গ করেছে। পাকিস্তানের সামরিক আদালতে কুলভূষণের বিচার হয়েছিল। এদিন আন্তর্জাতিক আদালতের ১০ সদস্যের বিচারপতির প্যানেলের রায়, কুলভূষণের বিচার হওয়া উচিত ফৌজদারি আদালতে। আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়কে ভারতের জয় হিসেবেই দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। আরও পড়ুন-রুষ্ট প্রকৃতি: নেপালে ভয়ঙ্কর বন্যার মাঝে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া
২০১৬-তে ইরান থেকে পাকিস্তানে গিয়ে গ্রেপ্তার হন ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার কুলভূষণ। কিন্তু পাকিস্তান তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ আনে। সেই মামলাতেই পাকিস্তানের সামরিক আদালত তাঁর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড মকুবের আর্জি জানিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যায় ভারত। এই মামলায় ভারতের পক্ষে আইনজীবী হরিশ সালভে পাকিস্তানের সামরিক আদালতের কার্যকলাপ নিয়েও আন্তর্জাতিক আদালতে প্রশ্ন তোলেন। তারই প্রেক্ষিতে তিনি যাদবকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ খারিজ করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে আর্জি জানান। অন্য দিকে, পাকিস্তানের আইনজীবী খায়র কুরেশি আন্তর্জাতিক আদালতকে ভারতের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধ করেন।
কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাকসেস না দিলেও পাকিস্তান ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে তাঁর স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে ওই অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসারের সাক্ষাতের সুযোগ করে দেয়।প রে যদিও ভারতের তরফে অভিযোগ করা হয়, কুলভূষণকে ‘গুপ্তচর’ প্রমাণ করানোর জন্যেই পাকিস্তানের সেটা একটা কৌশল ছিল। ভারতের অভিযোগ ছিল, এই ভাবেই ভিয়েনা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে ইসলামাবাদ। পাক সামরিক আদালতের ওই রায়কে ভারতের তরফে আন্তর্জাতিক আদালতে ‘বিচারের নামে প্রহসন’ বলে অভিযোগ করা হয়। পাকিস্তান ভারতের সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। বলে, কুলভূষণের মতো ‘গুপ্তচর’ দিয়েই ভারত পাকিস্তানের গোপন খবরাখবর সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল।