গত মঙ্গলবার বাঘাযতীনে (Baghajatin) বিদ্যাসাগর কলোনীতে হেলে গিয়েছিল আস্ত একটি ফ্ল্যাট। সেই ঘটনার পর থেকেই অধরা ছিলেন অভিযুক্ত। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে বকখালির একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রোমোটার সুভাষ রায়। জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর থেকেই ফোন সুইচড অফ করে গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। অবশেষে এদিন লোকেশন ট্র্যাক করে ধরা হয় তাঁকে। সুন্দরবন জেলা পুলিশের অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয় সুভাষ। যদিও আদপে তাঁর কী পরিকল্পনা ছিল সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

জলাভূমিতে প্রোমোটিং

মঙ্গলবার রাত থেকেই বাঘাযতীনে হেলে পড়া ওই বিল্ডিং ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই কলকাতা পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ারদের একটি প্রতিনিধি দল এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জানা যাচ্ছ, প্রোমোটিংয়ের আগে ওই জায়গায় জলাভূমি ছিল, সেটির ওপর মাটি দিয়ে বহুতল তৈরি হয়েছিল। তবে সম্প্রতি বহুতলের একটি দিক নীচু হয়ে যায় এবং নীচের তলার বেশ খানিকটা অংশ ভেঙেও যায়। তারপরে ফ্ল্যাটের মালিকরা প্রোমোটারকে ধরে। সেই কারণেই প্রোমোটার একটি সংস্থার সঙ্গে কথা বলে লিফটিংয়ের কাজ শুরু করে।

অনুমতি ছাড়াই চলছিল লিফটিংয়ের কাজ

যদিও এই বিষয়ে পুরনিগম বা কাউন্সিলরের থেকে কোনও অনুমতি নেননি সুভাষ রায়। বিনা অনুমতিতেই হাইড্রলিং জ্যাকিংয়ের কাজ শুরু করে ওই সংস্থার। আর তার জেরেই বৃহস্পতিবার আচমকাই হেলে পড়ে বহুতলের একাংশ।