একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার হল শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তর সমরনগর এলাকায়। বৃহস্পতিবার পরিবারের এক সদস্য প্রথম তিনজনের দেহ দেখতে পান। তারপর সে এলাকাবাসীদের খবর দেয়। এরপর ঘটনাস্থলে আসে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে ছেলে ও স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। দেহগুলি উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে খবর, পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না। তবে ঋণে জর্জরিত হয়েই মানসিক অশান্তিতে ভুগছিল স্বামী ও স্ত্রী। সেই কারণেই এই পথ বেছে নিয়েছে তাঁরা।
চপের দোকান বড় করার পরিকল্পনা
পুলিশসূত্রের খবর, ওই এলাকায় বছরখানেক হল ভাড়া এসেছিলেন শ্যামল রায় (২৭)। পেশায় তিনি ছিলেন রাজমিস্ত্রি। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী টুম্পা রায় (২০) ওই এলাকায় একটি চপের দোকান চালাতেন। তাঁদের আবার ছেলেও রয়েছে, যার নাম পিন্টু রায় (৬)। সম্প্রতি তাঁরা বাজার থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল চপের দোকানটি আরও বড় করা। কিন্তু কোনও কারণে তা হয়নি। আর সেই নিয়েই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শ্যামল।
ঘর থেকে দেহ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার সকালে টুম্পার বাবা কালীপদ রায় দীর্ঘক্ষণ ধরে ফোন করেন। তবে সেই ফোনের উত্তর না আসায় সন্দেহ হয়। আর তারপরেই মেয়ে জামাইয়ের খোঁজে বাড়িতে যান। সেখানে গিয়েও দীর্ঘক্ষণ তাঁদের ডাকলে কোনও সারা না আসায় সন্দেহ হয়। এরপর ঘরের জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন শ্যামলে দেহ ঝুলছে। এরপর তড়িঘড়ি দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে পুরো বিষয়টি সামনে আসে।