PAN Card Fraud: কল সেন্টারে করা যুবক সাড়ে ৩ কোটির আয়কর নোটিশ পেলেন!
রবি গুপ্তা (Photo: ANI)

ভিন্ড, ১৬ জানুয়ারি: বেতন আয় করের (Income Tax) আওতায় পড়ে না। অথচ কোটি কোটি টাকার আয়কর ফাঁকির নোটিশ এসেছে তাঁরই নামে। হতবাক যুবক নিজেই ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা শুরু করেন। সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ভিন্ড (Bhind) জেলার বাসিন্দা ২৯ বছরের রবি গুপ্তার (Ravi Gupta) দাবি, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির বড়সড় কোনও ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। তাঁর প্যান নম্বর থেকে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায় এমন একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে যার মারফত কোটি কোটি টাকার লেনদেন চলছে। বর্তমানে পঞ্জাবের কল সেন্টারে কর্মরত আছেন রবি। তিনি বলেন, যখন আয়কর বিভাগের (Income Tax Department) নোটিশ পেয়েছিলেন তখন আমার ধাক্কা লেগেছিল। আমাকে ১৩২ কোটি টাকার লেনদেনের জন্য লেনদেনের জন্য ৩ কোটি ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল। ২০১১-১২ সালে এই ১৩২ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে।"

রবি জানান, তাঁর প্যান নম্বর ব্যবহার করে মুম্বইয়ের একটি ব্যাঙ্কের শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। তার পর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩২ কোটি টাকার লেনদেন করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ সেই লেনদেনের ব্যাখ্যা দিতে বলেছিল। রবি বলেন, ২০১১-১২ সালে আমি ইন্দোরের একটি বিপিও-তে কাজ করতাম। বার্ষিক বেতল ছিল ৬০ হাজার। তিনি দাবি করেছেন যে জালিয়াতরা তাঁর প্যান ব্যবহার করে কোনও ব্যাঙ্কে যে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে, এ সম্পর্কে তার কোনও ধারণা ছিল না। তিনি বলেন, "গোয়ালিয়রের আয়কর অফিস আমাকে ১৭ ডিসেম্বর নোটিশ পাঠায়। আমাকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে ৩ কোটি ৪৯ লাখ জরিমানা দিতে বলা হয়। ওই নোটিশ দেখে আমি আকাশ থেকে পড়ি।" রবিরা দাবি, বিষয়টি নিয়ে গোয়ালিয়রের আয়কর কর্মকর্তাদের কাছে গেলেও তাঁরা কোনও সহায়তা করেননি। আরও পড়ুন: Ranu Mondal: সারমেয় গাইল রানু মণ্ডলের 'তেরি মেরি কাহানি', ভাইরাল ভিডিয়ো

নোটিশ পাওয়ার পর নিজের মতো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেন রবি। আর তা করতে নেমে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায় তাঁর। গুজরাতের সুরাত ভিত্তিক একটি হীরে সংস্থা মুম্বইয়ের একটি জায়গা থেকে কাজ চালায়। এই কম্পানির সঙ্গে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত মেহুল চোকসি ( Mehul Choksi) এবং তার ভাগ্নে নীরব মোদির (Nirav Modi) অফিসের যোগাযোগ ছিল। ওই হীরে ব্যবসায়িক সংস্থাটি ১৩২ কোটি টাকার লেনদেন করেছে এবং বেশ কয়েকটি লেনদেনের পরে ভুয়ো অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশে কেন অভিযোগ জানাননি? উত্তরে রবি বলেন, "গোয়ালিয়র ও লুধিয়ানা পুলিশ আমাকে মুম্বইয়ে যেতে বলে। তবে আমি মুম্বই যেতে ভয় পাচ্ছি। কারণ আমার প্যান ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা প্রতারকরা আমার ক্ষতি করতে পারে। একজন আইটি কর্তা আমাকে বলেছেন যে আমি যদি জরিমানা দিতে না পারি তবে লোন করে যে বাড়ি কিনেছি ও আমার বেতন সরকারি কোষাগারে চলে যাবে।" এই বিষয়ে গোয়ালিয়র আয়কর বিভাগের আধিকারিক নরেন্দ্র কুমার শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।