নতুন দিল্লি, ২ এপ্রিল: দেশজুড়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) সক্রিয়তা চোখে পড়ার মত বেড়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তথ্যও সেই দিকেই ইঙ্গিত করল।কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র অভিযান বাড়ার ঘটনা নিয়ে দেশের শাসক দলের বক্তব্য হল, নরেন্দ্র মোদী সরকারের দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকারের পদক্ষেপ। আর বিরোধীদের বক্তব্য হল, মোদী সরকারের অঙ্গুলিহেলনে ইডিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী কণ্ঠরোধ করা। তা সে যাই হোক, পরিসংখ্যান বলছে গত চার বছরে ভারতে ইডি অভিযান বেড়েছে ৫০০ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে প্রাপ্ত হিসেব বলছে, ২০১৮-১৯ ও ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ইডির নথিভুক্ত করা কেস বেড়েছে ৫০৫ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে যেখানে ইডি-র নথিভুক্ত করা কেস ছিল ১৯৫টি, সেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেটা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১৮০টি। আরও পড়ুন-সংক্রমণ ৪ হাজার ছুঁইছুঁই, কোভিড নিয়ন্ত্রণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের
দেখুন টুইট
Over 500% rise in number of cases registed by #ED in last 4 years
Read: https://t.co/yQSdYzNtVA pic.twitter.com/kzI0MB0hYD
— IANS (@ians_india) April 2, 2023
এবার দেখে নেওয়া যাক দেশে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ইডি অভিযান নিয়ে তথ্য কী বলছে। ২০০৪-১৪ অর্থবর্ষ মানে মনমোহন সিং সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশে মাত্র মোট ১১২টি তল্লাশী অভিযান চালিয়েছিল ইডি। যার মাধ্যমে মোট ৫৩৪৬ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া গিয়েছিল। সেখানে মোদী সরকার আসার পর ২০১৪-২০২২-এর মধ্যে ইডি-র তল্লাশি অভিযান হয়েছে ২ হাজার ৯৭৪টি। তার মানে মনমোহন সিংয়ের আমলের থেকে মোদী সরকারের জমানায় ইডি-র অভিযান বেড়েছে প্রায় ২,৫৫৫ শতাংশ। যার মাধ্যমে ৯৫ হাজার ৪৩২.০৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগের পদক্ষেপ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে মিলেছে এই তথ্য।
বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, বেছে বেছে শুধু বিরোধী নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি, অফিসেই তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি, সিবিআই। ইডি, সিবিআইয়ের মত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সক্রিয়তা পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গনা, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের মত অবিজেপি শাসিত রাজ্যেই চোখে পড়ার মত বেশী। বিরোধী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলে তাদের ওপর আর কোনও ইডি, সিবিআই অভিযান হয় না বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। এই বিষয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর নামও উঠেছে।