গোটা দেশে একই সময় একই সঙ্গে সব নির্বাচন করার পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই কারণে এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে বিশেষ কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। আর 'এক দেশ, এক নির্বাচন'কমিটির প্রধান তথা দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বড় কথা জানালেন। কোবিন্দ জানালেন, এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে গড়া কমিটির প্রথম বৈঠক হবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। মানে সংসদে পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন শেষ হওয়ার পরদিন, শনিবারই 'এক দেশ-এক নির্বাচন' নিয়ে বসবেন কমিটির সদস্যরা।
রামনাথ কোবিন্দ ছাড়াও এই কমিটিতে আছেন কেন্দ্রীয় অমিত শাহ, রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, ১৫তম অর্থ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এক কে সিং, লোকসভার প্রাক্তনন সচিব ড. সুভাষ সি কাশ্যপ, বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে, প্রাক্তন মুখ্য ভিজিলেন্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি। কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী-কে রাখা হলেও তিনি এই কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান।
দেখুন ভিডিয়ো
#WATCH | On the 'One Nation, One Election' committee, former President and chairman of the committee, Ram Nath Kovind says "The First meeting will take place on 23rd September" pic.twitter.com/FU1gvzMi7j
— ANI (@ANI) September 16, 2023
গোটা দেশে একই নির্বাচনের ব্যবস্থা। একই সময়ে হবে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনগুলি। অর্থাৎ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মেয়াদ শেষ হবে একই সময়ে। বর্তমানে আমাদের দেশে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন ভিন্ন সময়ে হয়। দেশে কখনও বিধানসভা, কখনও লোকসভা, কখনও স্থানীয় নির্বাচন। লেগেই থাকে ভোট। এতে সময়-অর্থ একই সঙ্গে অপচয়। আর এই কারণে এক দেশ এক নির্বাচন চায় কেন্দ্রীয় সরকার।
এমন কথাই বলা হচ্ছে বিজেপির তরফ থেকে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, এর পিছনে বিজেপির সাংবিধানিক ভারাসম্য ভঙ্গ করা ষড়যন্ত্র আছে। এক দেশ এক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দলগুলির সবথেকে বড় চিন্তা হল, তারা এই নিয়ম চালু আঞ্চলিক সমস্যাগুলিকে তুলে ধরতে পারবেন না। কেন্দ্রীয় ইস্যুগুলিই প্রধান গুরুত্ব পাবে প্রচারে। একই সময় রাজ্য় ও কেন্দ্রের ভোট হলে প্রভাবিত হতে পারেন ভোটাররা। শুধু খরচ বাঁচানো লক্ষ্য হলে গুরুত্বপূর্ণ ভোটের খরচের থেকে প্রধানমন্ত্রী বিলাসবহুল বিদেশ সফরের খরচ কমানো উচিত বিজেপির।