রাহুল গান্ধী। ফাইল ছবি। (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ৬ অক্টোবর: হরিয়ানা (Haryana), মহারাষ্ট্রে (Maharastra) প্রার্থী বাছাই নিয়ে দলে প্রবল বিরোধ। ইতিমধ্যেই দলত্যাগ করেছেন হরিয়ানার প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি। যা পরিস্থিতি তাতে দল যে দুই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারবে না, তা ভিতরে ভিতরে স্বীকার করে নিচ্ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। আর এরই মধ্যে বিদেশ সফরে চলে গেলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। প্রথমে জানা গেছি তিনি ব্যাঙ্কক (Bangkok) গেছেন। যদিও পরে জানা যাচ্ছে ব্যাঙ্কক নয় তিনি গেছেন কম্বোডিয়া (Cambodia)। জানা যাচ্ছে, তিনি ধ্যান (Meditation)  করতে দেশ ছেড়েছেন।

আর মাত্র দিন পনেরো পরেই মহারাষ্ট্র ( Maharashtra) ও হরিয়ানা (Haryana)- য় বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections 2019)। লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ (Lok Sabha 2019) -এ বড় ধাক্কা খাওয়ার পর কংগ্রেস (Congress)-এর কাছে এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একেবারে কোণঠাসা কংগ্রেসের কাছে এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর ভাল মঞ্চ ছিল। কারণ দুই রাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে ঝড় তোলার সুযোগ ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে দেশের বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়, রাহুল গান্ধী ব্যাঙ্ককে চলে গিয়েছেন। পরে জানা গেছে, রাহুলের গন্তব্য কম্বোডিয়া। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, রাহুলের দেশ ছাড়া কংগ্রেসের কাছে খুবই হতাশার। কারণ রাহুলই এখনও কংগ্রেসের প্রচারের মুখ। এই সময় রাহুল দেশ ছাড়লে কংগ্রেসের প্রচারে ভাটা পড়তে বাধ্য়। যদিও এখন কংগ্রেসের দায়িত্ব সনিয়া গান্ধীর কাঁধে। আরও পড়ুন: দশেরায় ফ্রান্সের প্যারিসে 'অস্ত্রপুজো' করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

গতকাল, শনিবার সকাল ৮.২৫ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দরে Vistara UK 121-র মাধ্যমে রাহুল ব্যাঙ্ককে যান বলে দাবি করেন বিজেপির মুখপাত্র তাজিন্দার পাল সিং বাগ্গা। অনেক সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেখানোর পরেও কংগ্রেসের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বিমান সংস্থার পক্ষ থেকেও জানানো হয়নি ওই বিমানে রাহুল গান্ধী সফরে করেছেন কি না। রবিবার জানা গেছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি কম্বোডিয়া গেছেন।

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করেন। রাহুলের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের অনুরোধ নিয়ে কম নাটক হয়নি। অনেক অনুরোধের পরেও অবশ্য রাহুল পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেননি। এতদিকে, রাহুলের পদত্য়াগের পরেও কিছুতেই কংগ্রেস নতুন কাউকে বসাতে পারছিল না। সে পর্যন্ত সেই সনিয়া গান্ধীকেই অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়। কংগ্রেস অবশ্য রাহুল গান্ধীর উদ্ধারে এসে পুরো বিষয়টি খণ্ডন করেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রয়োজন পড়লেই রাহুল গান্ধী বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ফিরে আসবেন। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তারকা প্রচারকদের মধ্যে রাহুল গান্ধীর নাম ছিল।

২১ অক্টোবর নির্বাচন হবে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় এক দফায় নির্বাচন। ২৪ অক্টোবর ফলপ্রকাশ। মহারাষ্ট্রে আসন সংখ্যা ২৮৮টি ও হরিয়ানায় ৯০টি আসনে ভোট হবে। ২০১৪ সালে এই দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসকে হারিয়ে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। সেই হিসাবে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির বড় জয়ের পর এই দুই রাজ্যে কংগ্রেস একেবারে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে। ভোট সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বিজেপি এই দুই রাজ্য়ে অনেকটা এগিয়ে।