ইসলামাবাদ, ১৯ মার্চ: ঘরোয়া রাজনীতির জাঁতাকলে পড়ে গদি হারাতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Pakistan PM Imran Khan)। ইতিমধ্যেই ইমরানেের নিজের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফে (PTI) কোন্দল চরমে উঠেছে। অনাস্থা ভোটের আগেই দলের ২৪ জন সাংসদ ইমরান খানের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছেন। পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই শুরু হয়েছে বিদ্রোহ। এখন বিরোধীদের পাশাপাশি নিজের দলের আইনপ্রনেতারাও ভোট দিলে ক্ষমতা হারাতে হতে পারে ইমরানকে।
সরকার বাঁচাতে সেনাবাহিনীর (Pakitan Army) কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওহাদ আহমেদ চৌধুরি। পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সেনার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যেন সেনাবাহিনীকে না জড়ানো হয়। কারণ অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করাটা সেনাবাহিনীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ছে না। আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাশিয়ার সঙ্গে অর্থপূর্ণ আলোচনার আহ্বান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির
পরিস্থিতি আঁচ করে এবার হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে পারে পাক প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ-র একটি অংশ বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেনাপ্রধান (COAS) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে (General Qamar Javed Bajwa) পাল্টা আক্রমণ করতে পারেন এবং এমনকি তাঁকে বরখাস্তও করতে পারেন। বাজওয়াকে বরখাস্ত করে নিজের পছন্দের লোক বসাতে পারেন ইমরান।
১৯৭২ সালে জুলফিকার আলি ভুট্টো সেনা ও বিমান বাহিনীর প্রধানদের বরখাস্ত করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৭ সালে সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়া উল হক ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয় ভুট্টোকে। জেনারেল জাহাঙ্গির কারামতকে বরখাস্ত করেছিলেন নওয়াজ শরিফ। কিন্তু জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ১৯৯৯ প্রতিশোধ নিয়েছিলেন। নওয়াজ শরিফকে তিনি ক্ষমতাচ্যুত করেন। এইবার যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, জেনারেল বাজওয়া এবং তাঁর কর্পস কমান্ডাররা কী প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা জানা নেই।