লখনউ, ২৬ সেপ্টেম্বর: জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370)তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। কাশ্মীরের বিশেষ স্টেটাস খর্ব করা হয়েছে, দেখতে দেখতে দেড়মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে। এই বিশেষ স্টেটাস খর্ব হওয়ায় উপত্যকা ঠিক কি কি সুবিধা পেতে চলেছে, তানিয়েই কাশ্মীরি পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে চান উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই মর্মে আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির কাশ্মীরি পড়ুয়াদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনার জন্য আমান্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (AMU) বিভিন্ন বিভাগে মোট ১২০০ কাশ্মীরি ছাত্র রয়েছেন, তাঁদের লখনউয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুল হামিদ (Abdul Hamid) বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি, মুখ্যমন্ত্রী কাশ্মীরি ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে চান। বিষয়টি ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছাত্রদের জানানো হয়েছে। যদি কাশ্মীরি ছাত্ররা যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেন তবে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ও তার সুবিধা নিয়ে আলাপ আলোচনা হবে। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে প্রায় ৪০ জন কাশ্মীরি ছাত্রকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই আমন্ত্রণকে ভাল চোখে নেননি ছাত্ররা। কোনও ছাত্রই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য নাম নথিভুক্ত করেননি। আবদুল হামিদ বলেন, ছাত্রদের প্ররোচিত করার চেষ্টা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই একটি বিবৃতিতে কাশ্মীরি ছাত্ররা (Kashmiri Student) বলেছিলেন, যোগী আদিত্যনাথ (YogiAdityanath) বরং অধ্যাপক, আইনজীবী, পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলুন যাঁদের কাশ্মীর থেকে এয়ার লিফটের মাধ্যমে সোজা উত্তরপ্রদেশের কারগারে বন্দি করা হয়েছে। আরও পড়ুন-যোগীর রাজ্যে জনমোহিনী ঘোষণা, তিন তালাক প্রাপ্ত মহিলারা পাবেন বার্ষিক ৬০০০ টাকা
এক লিখিত বিবৃতিতে কাশ্মীরি ছাত্ররা জানিয়েছেন, এই আমন্ত্রণের আড়ালে রাজনীতির অনুষঙ্গ বর্তমান। কাশ্মীরিদের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার এক ছদ্ম ভাবনা লোকসমক্ষে প্রচারের চেষ্টা হচ্ছে। এই কাজে নিজেদের দাবার বোড়ে হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মহম্মদ সালমান ইমতিয়াজ এই আমন্ত্রণের প্রতিক্রিয়ায় প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, কেন ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পর কাশ্মীর ছাত্রদের সহ্গে আলোচনা করতে চাইছে সরকার? গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ স্টেটাস খর্ব করার পর যখন পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে গোষণা করা হল, তখনই কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন কাশ্মীরি ছাত্ররা।