মুম্বই, ১ জুন: মহামারী করোনায় বিধ্বস্ত ভারত। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ। মৃত ৬ হাজারের কোঠা ছুঁই ছুঁই। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। সবথেকে শোচনীয় অবস্থা মহারাষ্ট্রের। এবার সেখানকার করোনা আক্রান্তদের সহযোগিতায় কেরালা থেকে আসছেন চিকিৎসক ও নার্স মিলিয়ে ১০০ জনের একটি দল। দু’এক দিনের মধ্যেই দলটি মহারাষ্ট্রে পৌঁছে যাবে। যে হারে মুম্বইতে (Mumbai) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে সামাল দেওয়ার মত যথেষ্ট নার্স ও চিকিৎসক নেই। তাই কেরালা থেকে ১৬ জনের চিকিৎসক দলটি মুম্বইতে পৌঁছালো বলে। সোমবার তিরুবনন্তপুরম সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডক্টর সন্তোষ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এই তথ্য দেন।
জানা গিয়েছে কয়েকদিনের মধ্যেই ৫০ জন চিকিৎসক ও ১০০ জনের নার্সের দলটি কেরালা থেকে মুম্বইতে পৌঁছাচ্ছেন। এদিকে ১৬ জন চিকিৎসক নিয়ে ইতিমধ্যেই মুম্বইতে চলে এসেছেন ডক্টর সন্তোষ কুমার। আমরা মুম্বইয়ের সেভন হিলস হাসপাতালে কাজ করব। এই জায়গাটি চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের জন্য নিরাপদ। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সহযোগিতা করতেই তাঁরা এখানে এসেছেন। কোরনা মোকাবিলায় মুম্বইয়ের সতীর্থদের সাহায্য করতে কেরালা থেকে আগত চিকিৎসকরা মূলত বেসরকারি হাসপাতালেই কর্মরত। সন্তোষ কুমার নিজে কেরালার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক হলেও সেখান থেকে আসা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কাজ করতে চান। মূলত মুম্বইয়ের চিকিৎসকরা মহামারী করোনাকে ঠেকাতে মরণপণ লড়ছেন, তাঁদের সহযোগিতা করাই এখন তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। আরও পড়ুন-Kolkata: ওটি-তে মরণাপন্ন মা, অভুক্ত সদ্যোজাতকে স্তন পান করালেন আরজি করের নার্স
এই সব চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা আপাতত মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে অবস্থিত সেভন হিলস হাসপাতালেই থাকবেন। সেখানেই চলবে চিকিৎসার কাজ। কারণ জায়গাটি নিরাপদ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামও রয়েছে। এই মুহূর্তে মুম্বইতে করোনা মোকাবিলায় ম্যান পাওয়ারের খুব প্রয়োজন। চাইলে মহারাষ্ট্রের অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসকরাও এই কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে পারেন। তবে কেরালা ও মহারাষ্ট্রের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির তুলনা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি তিরুবনন্তুরম সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডক্টর সন্তোষ কুমার। তিনি বলেন, মু্ম্বইয়ের মতো কোনও জায়গা কেরালাতে নেই। মুম্বই একটা বড় শহর। এখানে ৩০ মিলিয়ন লোকের বসবাস। সঙ্গে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভি। দুই জায়গায় সংক্রমণ ছড়ানোর কারণ যেমন আলাদা। তেমনই ভিন্ন সংক্রমণ রোধের স্ট্র্যাটেজিও।