কেরলের সরকারি কর্মীরা বাড়তি অর্থ উপার্জনের জন্যে ইউটিউব (YouTube) কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবে না, সদ্য কেরল সরকার (Government of Kerala) রাজ্যের সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে এমন নির্দেশ জারি করল। গত ৩ ফেব্রুয়ারি শ্রম এবং দক্ষতা বিভাগের উপ সচিব আর এস রুসি কেরল সরকারের এই আদেশটি জারি করেছেন।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে এল ১২ টি চিতা, রইল ভিডিয়ো
কেরল সরকারের এই নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি কর্মীরা স্বাধীনভাবে নিজেদের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সেখান থেকে সাবস্ক্রাইবার গড়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবে না। এটি কেরল সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি ১৯৬০ লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হবে। তাই কেরল সরকার রাজ্যের সকল সরকারি কর্মচারীদের জানিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান নিয়ম অনুসারে কেরলের কোন সরকারি কর্মীর ইউটিউব চ্যানেল খোলার অনুমতি নেই।
আরও পড়ুনঃ মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি,মাদকাসক্ত স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে
যে সকল কর্মীদের আগে থেকেই ইউটিউবে চ্যানেল রয়েছে তা শীঘ্রই বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে না পরেন সেই লক্ষ্যেই এই আদেশ জারি করেছে কেরল সরকার।
এর আগে ২০২১ সালে সরকারি কর্মচারীদের উপর আরও এক বিধিনিষেধ চাপিয়েছিল কেরল সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার বিরোধী কোনরকম মতামত যা সরকারকে ‘বিব্রত’ করতে পারে, এইরূপ কোন কিছু শেয়ার করতে পারবে না তাঁরা। ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস দ্বারা জারি করা এই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছিল, সরকারকে ‘বিব্রত’ করবে এমন কোন মতামত, ছবি কিংবা পোস্ট সে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা শেয়ার করলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।