
বিশ্বে প্রতি দুই সেকেন্ডে একটি করে শিশু জন্মগ্রহণ করে। তেমনই প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে নবজাতকের মৃত্যু হয়। এই সদ্যজাতদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয় সময়ের আগে জন্মের কারণে। শিশুদের অকাল প্রসব (Pre-Term Birth Babies) অর্থাৎ গর্ভধারণের ৩৭'তম সপ্তাহের আগে জন্ম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের মৃত্যু ডেকে আনে। তবে শিশুদের অকাল জন্মের নিরিখে গোটা বিশ্বের মধ্যে পাঁচটি দেশর নাম উঠে এসেছে বার বার। যাদের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত (India)।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের (United Nations) প্রকাশিত রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের (Premature Baby) মধ্যে অর্ধেকই জন্মায় ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, চিন এবং ইথিওপিয়া এই পাঁচ দেশে। ২০২০ সালে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ১৬.২ শতাংশ অকাল শিশুর জন্ম হয়েছিল। এরপরেই স্থান ছিল মালাউই ১৪.৫ শতাংশ এবং পাকিস্তান ১৪.৪ শতাংশ। ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় আনুমানিক ১৩ শতাংশ। সেই সময় এই পাঁচ দেশ ছিল শিশুদের অকাল জন্মের শীর্ষ তালিকায়। ওই বছর বিশ্বের মোট ১৩.৪ মিলিয়ন শিশু সময়ের আগেই জন্মগ্রহণ করেছিল। যাদের মধ্যে ১ মিলিয়নের মৃত্যু হয়েছে অকাল জন্ম এবং তার ফলে সৃষ্টি হওয়া বেশ কিছু জটিলতার কারণে।
ভারতে অকাল প্রসবের কারণ কী?
ভারতের মত উন্নয়নশীল শেষে অন্তঃসত্ত্বা মা এবং তাঁর গর্ভের সন্তানের সঠিক চিকিৎসা এবং পরিচর্যার অভাবেই শিশুরা সময়ের আগেই জন্ম নেয়। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয় সেই সকল শিশুর। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকা গুলোতে সেই হার সর্বাধিক লক্ষ্য করা যায়। ভারতের গ্রামীণ এলাকা গুলোতে নবজাতকদের যত্ন ইউনিটের পরিকাঠামোর আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন ন্যাশনাল নিউওনাটোলজি ফোরামের মহাসচিব।