Allahabad High Court (Photo Credit Wikimedia Commons)

নয়াদিল্লি: এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছে লিঙ্গ পরিবর্তন একটি সাংবিধানিক অধিকার। হাইকোর্টের (Allahabad High Court) মন্তব্য, আধুনিক সমাজে পরিচয় পরিবর্তনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়াকে জেন্ডার আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার সিনড্রোম বলা যেতে পারে। ইউপি পুলিশের মহিলা কনস্টেবল নেহা সিং দাবি করেছিলেন যে, তিনি লিঙ্গ ডিসফোরিয়ায় ভুগছেন, সে কারণেই সেক্স রিঅ্যাসাইনমেন্ট সার্জারি করাতে চান।

এদিন আদালতে আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি অজিত কুমারের একক বেঞ্চ মন্তব্য করেছে। আদালত বলেছে যে কখনও কখনও এই ধরনের সমস্যা খুব মারাত্মক হতে পারে। এই ধরনের ব্যক্তি খাওয়ার সমস্যা, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, নেতিবাচক ভাবমূর্তি এবং নিজের যৌন শারীরবৃত্তির প্রতি অপছন্দে ভুগতে পারেন।

আবেদনকারী জানিয়েছেন, গত ১১ মার্চ পুলিশের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে যৌন পুনর্নির্ধারণ অস্ত্রোপচারের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আবেদনের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ কারণে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আরও পড়ুন:  Delhi : নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত আধিকারিক ও তার স্ত্রীকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ তিস হাজারি আদালতের

একজন ব্যক্তির অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার লিঙ্গ পরিবর্তন করার "সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত" অধিকার রয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট গত সপ্তাহে রাজ্যের ডিজিপি (ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ) ওই মহিলা কনস্টেবলের লিঙ্গ পরিবর্তনের পদ্ধতির অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি অজিত কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, আধুনিক সমাজে যদি আমরা একজন ব্যক্তির পরিচয় পরিবর্তন করার এই সহজাত অধিকারকে গ্রহণ না করি তবে আমরা কেবল জেন্ডার আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার সিন্ড্রোমকে উত্সাহিত করব।