গড়চিরোলি: ১৩ জনকে হত্যা করার পর অবশেষে ধরা পড়ল মহারাষ্ট্রের ক্ষেপে ওঠা বাঘটি (conflict tiger)। বিদর্ভের গড়চিরোলি (Gadchiroli) ও চন্দ্রপুর (Chandrapur) জেলায় রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করার পর সিটি-১ (CT-1) নামের ওই ক্ষেপে ওঠা বাঘটিকে ধরতে সফল হলেন বন দপ্তরের কর্মীরা।
এপ্রসঙ্গে মহারাষ্ট্র বন দপ্তরের (Maharashtra forest department) এক আধিকারিক বলেন, কিছুদিন ধরেই বিদর্ভ (Vidarbha) অঞ্চলের গড়চিরোলি ও চন্দ্রপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ চালিয়ে মোট ১৩ জনকে হত্যা করেছিল বাঘটি। এর মধ্যে ওয়াদসা (Wadsa) এলাকায় ৬ জন, ভান্ডারা (Bhandara) এলাকায় ৪ জন ও ব্রহ্মপুরীতে (Brahmapuri) তিনজন মানুষকে হত্যা করে। পরে ওয়াদসা ফরেস্ট রেঞ্চ এলাকা গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। এর ফলে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকায়। আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল আরও প্রাণ হারানোর। এই কারণে বন দপ্তরের তরফে ৪ অক্টোবর নাগপুরে একটি বৈঠক করেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সেখানে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর ওই বাঘটিকে ধরে পুর্নবাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া সিদ্ধান্ত হয়। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মহারাষ্ট্র বন দপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণ) (Principal Chief Conservator of Forests)(Wildlife)।
এই সিদ্ধান্তের পরেই টাডোবা টাইগার রেসকিউ টিম (Tadoba Tiger Rescue team), চন্দ্রপুরের তাৎক্ষণিক বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও নাভেগাঁও-নাগজিরা-সহ অন্যান্য এলাকার বন কর্মীরা বাঘটির সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেন। আর বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো গুলি করে পাকড়াও করা হয় ওয়াদাসা ফরেস্ট রেঞ্জের মধ্যে থেকে। বর্তমানে তাকে এই এলাকা থেকে ১৮৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাগপুরের গোরেওয়াদা রেসকিউ সেন্টারে (Gorewada rescue centre) পাঠানো হয়েছে।
নিজের জীবন বা সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে কোনও বাঘ মানুষকে হত্যা করলে বন দপ্তরের তরফে তাকে ক্ষ্যাপা বাঘ (Conflict tiger) বলে চিহ্নিত করা হয়।