নতুন দিল্লি, ২৯ জানুয়ারি: ১৮ হাজার ৮৫৫ জন নতুন করোনা আক্রান্তকে নিয়ে ভারতে কোভিড রোগীর সংখ্যা পৌঁছালো (Coronavirus Cases In India) ১ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার ৪৮-এ। শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, এনিয়ে ২২দিন দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২০ হাজারের নিচেই রয়েছে। এমনকী, গত ৩২ দিন ধরে দৈনিক মৃত্যু ঘোরাফেরা করছে ৩০০-র নিচে। গত ১৯ জানুয়ারি ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৬৪ জন। চলতি বছরে সংখ্যার বিচারে এই দিনেই সবথেকে কম সংখ্যাক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গতবছরে মহামারী শুরু হয়ে যাওয়ার পর সবথেকে কম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল ৩ জুন। সেদিন ভারতের দৈনিক সংক্রামিতর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৬৩৩ জন। আরও পড়ুন-Amit Shah: ২ দিনের সফরে আজ রাজ্যে অমিত শাহ, কী বললেন দিলীপ ঘোষ?
গতাকাল সারাদিনে দেশে করোনার বলি ১৬৩ জন। সবমিলিয়ে ভারতে করোনার মৃত্যু মিছিলে শামিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ১০ জন। ইতিমধ্যেই করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৫২ জন। বর্তামনে দেশে অ্যাকটিভ কেস ১ লাক ৭১ হাজার ৬৮৬ জন। সুস্থতার হার ৯৬.৯৬ শতাংশ। যেখানে মৃত্যুর হার ১.৬২ শতাংশ। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আইসিএমআর এর তত্ত্বাবধানে মোট ১৯ কোটি ৫০ লাখ ৮১ হাজার ৭৯ জনের কোভিড টেস্ট হয়েছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ৪২ হাজার ৩০৬ জনের কোভিড টেস্ট হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। কেরালা, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, বিহার, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও গুজরাট থেকে দৈনিক সংক্রমণের ৭৮ শতাংশের খবর মিলছে। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়া। এজন্য করোনা তাড়াতে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া।
প্রথম পর্যায়ে ২৮ লাখেরও বেশি মানুষের শরীরে করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ চলে গেছে। ১১টি রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণের প্রক্রিয়া দারুণভাবে চলছে। যাঁদের প্রতিষেধক দেওয়ার কথা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি জন প্রথম ডোজ নিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে পড়েছে লাক্ষাদ্বীপও। সেখানে ৮৩.৪ শতাংশ বাসিন্দাকে টিকাকরণের আওতায় আনা হচ্ছে।